অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নাটোরের লালপুরে চাঞ্চল্যকর ছাত্রলীগ কর্মী মোয়াজ্জেম হোসেন খান্নাস হত্যা মামলায় বিএনপির ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এই মামলায় অভিযুক্ত অপর ১৩ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান সিদ্দিক এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, লালপুর উপজেলা বাহাদুরপুর এলাকার শামীম, সুজন, মতিন ও কৃঞ্চপুর শুকুর। আর যাবজ্জীন সাজাপ্রাপ্ত হলেন বাহাদুরপুর এলাকার ফয়েজ উদ্দিন এর ছেলে সান্টু মিয়া। সাজা প্রাপ্তদের মধ্যে শামীম ছাড়া বাকী সবাই পলাতক রয়েছে।
খান্নাস হত্যার আইনজীবি ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০০১ সালের অক্টোবরে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর যে নির্যাতন শুরু হয় তারই ধারাবাহিকতায় ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় উপজেলার হাবিবপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় ইয়াছিনের বাড়ীর সামনে মোয়াজ্জেম হোসেন খান্নাসকে গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ী কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় তারা। পরে তাকে উদ্ধার করে লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক খান্নাসকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় খান্নাসের বাবা আব্দুল শুকুর মৃধা বাদি হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে ১ মার্চ লালপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ ২০০২ সালের ৩০ এপ্রিল ২৩ জনকে অভিযুক্ত করেই আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেয়। এই মামলায় ৫ অভিযুক্তকে আইনমন্ত্রণালয় ৫ জনকে অব্যাহতি দেয়। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে এই রায় দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন