মালেয়শিয়ার কুয়ালালমপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চাঁদপুরের সোহেল ও আল আমিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় আল আমিনের জানাযা ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চরভাগল গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
অপর দিকে দুপুর ২.৩০টায় সোহেলের জানাযা হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের দেবীপুর জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে সোহেলকে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার রাত ২টায় সোহেল ও আল আমিনের লাশ মালয়েশিয়া থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসলে সেখানে সোহেলের লাশ তার বাবা আনোয়ার হোসেন ও আল আমিনের লাশ তার বাবা মাওলানা আমির হোসেন গ্রহণ করেন। এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে লাশ দাফনের জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়।
অপর দিকে মালয়েশিয়ার কোম্পানির পক্ষ থেকেও উভয় লাশের সাথে প্রাথমিক খরচ বাবদ টাকা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান সোহেলের বাবা আনোয়ার হোসেন। তবে কত টাকা দেয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় উভয়ের লাশ তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছলে এক হৃদয়বিধারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
ফরিদগঞ্জের নিহত আল আমিন তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। মাত্র ৮ মাস আগে পাশের বাড়ির মিলন গাজীর ছেলে রাসেলের সঙ্গে আল আমিন জীবিকার সন্ধানে মালেয়শিয়ার কুয়ালালামপুরে যান।
হাজীগঞ্জের দেবীপুর গ্রামের মো. সোহেল ১ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। সেও মাত্র ৮মাস পূর্বে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে জীবিকার সন্ধানে পাড়ি জমান।
গত ৭ এপ্রিল রাতে মালেয়শিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের কাছের একটি সড়কে বাংলাদেশিসহ আরো কয়েকটি দেশের শ্রমিকরা কর্মস্থলে যাবার পথে বাস দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ সময় ৫ বাংলাদেশিসহ ১১ জন নিহত হয়। এতে আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন