রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ এবং উপজেলার সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হওয়ার কারণ জানতে চেয়ে গফরগাঁও উপজেলা প্রকৌশলী মো. তফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান প্রকৌশলীকে স্থানীয় সরকার বিভাগ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়নর ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামান কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী জামানের অভিযোগের ভিত্তিতে এ চিঠি দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়নর ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লিখিত অভিযোগ করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। মেসার্স জামান কনস্ট্রাকশনের স্বত্ত¡াধিকারী জামানের অভিযোগে বলা হয়, গফরগাঁও উপজেলা প্রকৌশলীর অধিনে তিনি ড্রিপ প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার একটি রাস্তার কাজ পান। কাজটি করতে গেলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. তফাজ্জল হোসেন তার নিকট ১০% হারে ৩৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এই বিপুল পরিমাণ ঘুষের টাকা ঠিকাদার দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে উপজেলা প্রকৌশলী নানা অজুহাতে কাজ করতে বাধা প্রদান করতে থাকে। এক পর্যায়ে বিল পাওয়া সাপেক্ষ ঘুষের টাকা প্রদানে সম্মত হলে ঠিকাদার কাজ শুরুর অনুমতি পান। কিন্তু দেড়কোটি টাকার কাজ করার পরও মাত্র ৬৬ লাখ টাকার বিল ছাড় করায় এক পর্যায়ে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হন তিনি। রাস্তা নির্মাণের এ কাজটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ঐ এলাকার কয়েক লাখ মানুষ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। তারা আগে কষ্ট করে হলেও ঐ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারতেন, এখন তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
দীর্ঘদিন একই জায়গায় চাকরি করার ফলে উপজেলা প্রকৌশলী নিজেই একটি চক্র তৈরি করেছেন। তাদের মাধ্য সব কাজের ঠিকাদারী নিয়ন্ত্রণ এবং শেয়ারের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করে থাকেন। বাইরের কোন ঠিকাদারের এখানে কাজ করার সুযোগ নেই। কেউ কাজ পেলে তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে ঐ প্রকৌশলী তার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিও করছে।
নানা অনিয়ম করে ইতোমধ্যে ঐ উপজেলা প্রকৌশলী বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। ঢাকায় একাধিক ফ্লাটসহ এলাকায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এঘটনা সঠিকভাবে তদন্ত করতে প্রধান প্রকৌশলীকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন