অর্থনৈতিক রিপোর্টার : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের জুন মাসের বেতন দিতে মালিকদের অনুরোধ করা হবে। একইসঙ্গে ১৫ থেকে ২১ রমযানের মধ্যে তাদের বোনাস দেয়ারও অনুরোধ করা হবে।
গত রোববার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম বিষয়ক ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটির সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। সভায় বিজিএমইএ, বিকেএমইএ প্রতিনিধি, শ্রম সচিব, মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, শ্রমিকরা যেন ঈদের ছুটিতে যাওয়ার সময় বেতনের টাকা নিয়ে যেতে পারেন, সেজন্য তাদের মালিকদের অনুরোধ জানানোর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া, মালিকরা শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ভাতা যা-ই দেন, সেটা যেন রমজান মাসের ১৫ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে দেয়া হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি পোশাক ছাড়াও অনেক কারখানা ঈদের দিনও খোলা রাখা হয়। জরুরি প্রয়োজন ও ব্যতিক্রম ছাড়া কোনো কারখানা যেন এবার খোলা না রাখা হয়। ঈদের দিন কলকারখানা বন্ধ রাখা উচিত। একইসঙ্গে ঈদের আগে কোনো পোশাক কারখানায় যেন শ্রমিক ছাঁটাই না করা হয়, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঈদের ছুটিতে পোশাক শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার সময় যানজট ও দুর্ভোগ এড়াতে সবগুলো কারখানা একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেয়ার অনুরোধ জানান। তিনি আরো বলেন, ঈদের ছুটিতে পোশাক খাতের উৎপাদন প্রক্রিয়া যেন কোনো কারণে ব্যাহত না হয়, সেজন্য শ্রমিক-মালিক-সরকার যৌথভাবে এ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটি গঠন করেছে।
এদিকে রাজধানীর মিরপুর কল্যাণপুরের আয়শা অ্যান্ড গালিয়া ফ্যাশনস লিমিটেডের শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণসহ সকল বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানিয়েছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। গতকাল (সোমবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মিছিল ও সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল আয়শা অ্যান্ড গালিয়া ফ্যাশনস কারখানাটি কর্তৃপক্ষ বন্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু শ্রমিকদের বেতন-ভাতা সঠিকভাবে পরিশোধ করেনি মালিকপক্ষ। তারা বলেন, শ্রমিকরা বিজিএমইএতে অভিযোগ করলে গত ২৬ এপ্রিল কারখানার মালিকদের বকেয়া পরিশোধ করতে বলা হয়। পরে শ্রমিকদের উপস্থিতিতে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপরও করখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করছে না।
সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. ফাররু খানের সভাপতিত্বে মিছিল ও সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আরিফা আক্তার, কেন্দ্রীয় নেতা মো. রফিকুল ইসলাম রফিক ও মো. কবির হোসেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন