শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

জনবিচ্ছিন্নতা থেকেই অবৈধ সরকারে অস্থিরতা নোমান

প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ এখন জনবিছিন্ন হয়ে পড়ায় তাদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দেশে যে সঙ্কট চলছে তা জাতীয় সঙ্কট। এ অবস্থায় জাতীয় স্বার্থে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার আহŸান জানান তিনি।
গতকাল এক সভায় বলেন, কারাগার থেকে নেতাকর্মীদের মুক্ত করে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কেননা মানুষ চায় পরিবর্তন। ভোটের মাধ্যমে সেই পরিবর্তন করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় জনগণ উন্মুখ হয়ে আছেন। বর্তমানে যে শাসনতন্ত্র বা সংবিধান রয়েছে সেখানে জনগণের অধিকারের কোনো ব্যবস্থা নেই, আইন প্রয়োগের নেই কোনো নির্দেশনা।
রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এই সভা হয়। কলামিস্ট ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ সকল পেশাজীবীদের মুক্তি দাবি ও বন্ধ মিডিয়া খুলে দেওয়ার দাবিতে কলম একাডেমি নামক একটি সংগঠন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, বর্তমান শাসকদল আওয়ামী লীগ জনবিছিন্ন হয়ে পড়ায় তাদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আজকে দেশে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তা বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। এটা জাতীয় সঙ্কট। তাই জাতীয় স্বার্থে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। অন্যথায় অস্থিরতা থেকে শাসক দল আরো বেশি স্বৈরশাসকে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, অপকর্মের জবাবদিহিতার ভয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। তবে কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা বিএনপি নেবে কিনা জানি না, জনগণ এই সরকারের অপশক্তির আক্রমণের জবাব দিবে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট ও কর্তৃত্ববাদী সরকারে পরিণত হওয়ায় দেশে দুঃশাসন নেমে এসেছে। কথা বলার কোনো সুযোগ নেই, ভিন্ন মত প্রকাশ করলেই গ্রেফতারি পরোয়ানা, মামলা এবং জেল।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষক। তিনি সঠিক সময়ে ঘোষণা না দিলে সেটা মুক্তিযুদ্ধ নয়, দেশে-বিদেশে গৃহযুদ্ধে রূপান্তরিত হতো।
সংগঠনের সভাপতি মইনুল আহসান মুন্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হীরা, বিএনপির সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন