উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বেলজানী গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৪০ জন। এ সময় উভয় গ্রæপের ২৫টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর লুটপাট হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
জানা যায়, গত রোববার সকালে বেলজানী গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন মাতুব্বর গ্রæপের আব্দুর রউফ মাতুব্বর (৫৫) মাঠে যাওয়ার পথে ময়না ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সবুজ সমর্থক কয়েকজন অতর্কিত হামলায় আহত হয়। এ ঘটনায় রউফ মাতুব্বরের ছেলে বাবলু মাতুব্বর বাদি হয়ে ওইদিন বিকেলে ৫১ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করে। এর জেরে মঙ্গলবার ভোরে আলাউদ্দন মাতুব্বরের গ্রæপ সবুজ মেম্বারের গ্রæপের বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। এ সময় উভয় গ্রæপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। সংঘর্ষে মহিলাসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত রবিউল ইসলাম (৩৫), বুলবুল (১৭), জলিল (১৭), রুবেল (১৭), রমজানুল ইসলাম (৩০), শরিফুল ইসলামকে (৩০) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো ভর্তি হয়েছে হাফিজার (৪০), করম আলী (৬০), জমিন মোল্যা (২৯), ইলিয়াস (৩৪), জমিন (২৯), বাবুল মোল্যা (৩০), শিমুল মোল্যা (১৯), জসিম (৬০), সামাদ (৪৯), জুয়েল (১৮) ও মামুন (২৫)। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে আলাউদ্দিন মাতুব্বর বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা সবুজ মেম্বর ও ঝিন্না মিয়ার (ট্রাক চালক) লোকজন আমার পক্ষের লোকজনকে মারধর করে।
সবুজ মেম্বর মোবাইলে বলেন, কোন কারণ ছাড়াই আলাউদ্দিন মাতুব্বরের সমর্থকরা আমাদের লোকদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায় ও বাড়ি ঘর ভাঙচুর লুটপাট করে। এ ছাড়া তার লোকজন বিভিন্ন সময় আমার লোকজনকে তারা যেখানে সেখানে মা রধর করতো।
থানার এসআই মো. সাইফুদ্দিন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন