সিলেট অফিস : শহরতলী বালুচর এলাকায় ধর্ষণের পর এক কিশোরীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে শাহপরান থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন কিশোরীর বাবা সেলিম মিয়া। গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তর বালুচর জোনাকি আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জোনাকি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সেলিম মিয়া জানান, তার মেয়ে আলফা বেগমের (১৬) সঙ্গে একই এলাকার আল-আমিন নামের এক সিএনজি অটোরিকশা চালকের প্রেমের সম্পর্কে ছিল। পরবর্তীতে গত ৫ মে আলফা বেগমকে বেড়ানোর কথা বলে দলাদলি চা বাগানে নিয়ে যায় আল-আমিন। সেখানে নিয়ে ধর্ষণ করে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেয়। একপর্যায়ে আলফা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে গত ৮ মে ওসিসির প্রতিবেদনটি বিমানবন্দর থানায় পাঠানো হয়। কিন্তু সে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেই এলাকা বিমানবন্দর থানাধীন না হওয়াতে প্রতিবেদনটি শাহপরান থানায় স্থানান্তর করা হয়।
সেলিম মিয়া জানান, ওসিসির প্রতিবেদনটি থানায় দেওয়া হয়েছে এমন খবর আল আমিন জেনে যায়। এরপর থেকে থানায় মামলা দায়ের না করার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে আল আমিন। একপর্যায়ে গত ১৯ মে শাহপরান থানায় আল আমিন ও তার সহযোগী মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করা হয়। আলফার মা সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হোস্টেলে রান্না করনে জানিয়ে সেলিম মিয়া বলেন, রোববার সন্ধ্যায় আলফাকে ঘরে একা রেখে তার মা সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হোস্টেলে রান্না করতে যান। এ সময় আল আমিন ও তার সহযোগী মানিক মিয়া এসে আলফাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর বিষয়টি পুলিশকে অবগত করেন এবং রাত দেড়টার দিকে শাহপরান থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন সেলিম মিয়া। শাহপরান থানার ওসি শাহজালাল মুন্সি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন