সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : দায়িত্বে অবহেলার কারণে নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.কে. শামছউদ্দিন আহাম্মদকে বদলি করা হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়ার পর রোববার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান তার বদলির আদেশ জারি করেছেন। ওই নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মেরামত কাজ না করে ঠিকাদারদের সাথে আঁতাত করে কয়েক কোটি টাকার বিল তুলে নেওয়াসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তিনি আরো ৩ প্রকৌশলীকে নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সড়ক বিভাগের কর্মচারীরাও তার নানা অনিয়মে ক্ষুব্ধ ছিল।
নারায়ণগঞ্জ সওজ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগড়াপাড়া থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত (১৯, ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৭তম কিলোমিটার (অংশ) এলাকা) মেরামত কাজ না করে ৯৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকার বিল দেওয়া হয় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে। কাজের চুক্তিপত্র নম্বর-এনআরডি-৬১/২০১৫-২০১৬। কাজটি ২৮ নভেম্বর ২০১৫ সালে সমাপ্ত করা হয়েছে বলে রেকর্ডে উল্লেখ করা হয়েছে। অপরদিকে ঢাকা বাইপাস সড়কের কাঞ্চন সেতু থেকে পূর্ব দিকে ৫ কিলোমিটার এলাকায় মেরামত না করে অপর একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে বিল দেওয়া হয় ৫৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। এই কাজের চুক্তিপত্র নম্বর-এনআরডি-৬৫/২০১৫-২০১৬। ওই দুটি স্থানে স¤প্রতি মন্ত্রী পরিদর্শন করে রাস্তার বেহাল দশা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নারায়ণগঞ্জ সওজ-এর একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানিয়েছেন, নির্বাহী প্রকৌশলী সামছউদ্দিন আহাম্মদের নেতৃত্বে প্রকৌশলীদের একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল। তারা মিলে মিশে ভুয়া কাজ দেখিয়ে বিল দেওয়াসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি করতেন। সিন্ডিকেটের অন্য প্রকৌশলীরা হলেন-ভিটিকান্দি সড়ক উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাকির আলম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী তারিক হাসান ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন মুন্না। দুর্নীতি সহজভাবে করার জন্য তাদের প্রত্যেককে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন ওই নির্বাহী প্রকৌশলী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন