শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সিরাজদিখানে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সেতু মন্ডল (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে । এ ঘটনায় নিহত সেতু মন্ডলের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। নিহত সেতু মন্ডল সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের গোয়ালখালি গ্রামের কুয়েত প্রবাসী গোপাল মন্ডলের মেয়ে।
সেতু ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর কবি নজরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার আগেই প্রধান আসামি সোহেলকে তার নিজ বাড়ি নবাবগঞ্জ এলাকার ধৌলতপুর থেকে গত বুধরার রাতে আটক করে।
সেতু মন্ডলের কাকা পবিত্র মন্ডল জানান, গত বুধবার সকালে বসত ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয় স্কুলছাত্রী। তাৎক্ষণিক পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করলে ওই দিন বিকেলে মারা যায়।
তিনি আরো জানান, গত ৯ই এপ্রিল সেতু স্কুলের যাওয়ার উদ্দেশে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাসায় ফিরেনি। দুই দিন পর ১১ এপ্রিল ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গোলামবাজার পুলিশ ফাঁড়ি তাকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ তার বাড়িতে খবর দিলে পরিবারের লোকজন গোলামবাজার ফাঁড়ি থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে ফেরার ৫ দিন পর বুধবার সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গোলামবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কবিরুল ইসলাম জানান, ১১ এপ্রিল গোলামবাজার এলাকায় এক যুবকের সঙ্গে ওই স্কুল ছাত্রীকে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়। এতে পুলিশ যুবক ও স্কুলছাত্রীকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয় ও স্কুলছাত্রীকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ৫ দিন পর সেতু মন্ডল আত্মহত্যা করে । এ ঘটনায় সেতু মন্ডলের মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাত ২ জনসহ গ্রেপ্তারকৃত সোহেলকে প্রধান আসামি করে অপহরণ ধর্ষণসহ ৪টি ধারা দিয়ে মামলা দায়ের করেন ।
সিরাজদিখান থানার ওসি মো. ফরিদউদ্দিন মামলার বাদী রেখা মন্ডলের বরাত দিয়ে জানান, সেতু মন্ডল উদ্ধারের সময় অনেকটা অচেতন ছিল। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তার মাকে জানিয়েছে- সোহেল নামের এক যুবক তাকে সেখানে নিয়ে যায়। পুলিশের ধারণা মেয়েটি ধর্ষণের স্বীকার হয়েছিল এবং কোন নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়। মেয়েটি কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থার পরই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। তিনি আরো বলেন, মান সম্মানের ভয়ে মুখ খুলেননি। হাসপাতালে পর্যন্ত নেননি।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন