খুলনায় দিনকে দিন গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১৩ এপ্রিল থেকে খুলনায় তাপমাত্রা পারদের মতো ওঠানামা করছে। বুধবার খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃষ্টিহীন চারদিকে, রোদের তীব্র তেজের কারণে হাসফাস শুরু হয়েছে। শিশুরা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে, পাশাপাশি বয়স্করাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। খুলনায় গত ১৫ দিনে শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ২১০ জন। এ সময় পর্যন্ত নিউমোনিয়া রোগির ভর্তি সংখ্যা ছিলো ৮৫ শিশু। পহেলা বৈশাখ থেকেই ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
খুলনা শিশু হাসপাতালের সূত্র মতে, গত ১ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ভর্তি ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ছিলো ২১০ এবং নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়েছে ৮৫ শিশু। এর আগের মাসে মার্চে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা ছিলো ৪০২ এবং নিউমোনিয়া আক্রান্ত ১৬২ শিশুকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিস সূত্র মতে, গত ১৩ এপ্রিল খুলনায় সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৫ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৬ এপ্রিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ছিলো ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিলো। এই দিনে খুলনা বিভাগের মধ্যে যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
খুলনা শিশু হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের পর থেকে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে। বাইরের রোদে ঘোরাঘুরি ও খাওয়ার কারণে ডায়ারিয়া আক্রান্ত বেড়েছে। এছাড়া গরমের ঘাম শরীরের মধ্যে বসে গিয়ে শিশুরা শ্বাসকষ্টসহ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।’
ছয় মাসের বেশি বয়সী ডায়ারিয়া আক্রান্ত শিশুদের মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি ওরস্যালাইন, রাইস স্যালাইন, দেশীয় মাছ, কাঁচকলা ভর্তা, থানকুনি পাতার রস, ডাবের পানি খাওয়ানোর পরমার্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। প্রয়োজন ছাড়া গরমে শিশুদের বাইরে বের না করা এবং বাইরের খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. ইমতিয়াজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন