শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

না.গঞ্জের ৭ খুন : ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন, পরবর্তী শুনানি ৩ মে

প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৭ খুনের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণকালে মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন কাঠগড়ায় মাথা ঘুরে পড়ে যান। পরে আইনজীবী ও অন্যরা তার মাথায় পানি ঢেলে কাঠগড়ার বাইরে এনে ফ্যানের নিচে বসান।
এদিকে, ৭ খুন মামলায় একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ৩০ মে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। এ নিয়ে ৫৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সকাল সাড়ে ৯টা হতে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া নূর হোসেনসহ ২৩ আসামির উপস্থিতিতে ৫ জনের সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, মঙ্গলবার আদালতে ৭ খুনের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম শফিকুল ইসলাম, হত্যাকাণ্ডের পর আলামত জব্দের সময়ে সাক্ষী করা আবদুল আউয়াল, আজাদ শেখ, মো. রহিম ও হাসানের।
নূর হোসেনের পক্ষে আইনজীবী মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি খোকন সাহা সাংবাদিকদের জানান,নূর হোসেনের উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আদালত বিধি মোতাবেক কারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
৭ খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী বিজয় কুমার পাল নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা ও অপর বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি (নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী)। দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলো ১২৭ জন করে। এ কারণে উভয় মামলার সাক্ষীদের একই সঙ্গে দুই মামলায় জেরা করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন