বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ডাক ও টেলিযোযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হকের জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক গত রবিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার নামাজের জানাজা মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় গোদাগাড়ী উপজেলা সদরের গোদাগাড়ী সরকারী কলেজের বিপরীতে রাজশাহী - চাঁপাই মহনগরী সড়কের পাশে পৌরসভা পার্কে অনুষ্ঠিত হয়। তার লাশ গোদাগাড়ী তানোরের মাটিতে আশা মাত্রই এলাকার মানুষের কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে উঠে। শান্তনা দেয়ার ভাষা মানুষ হারিয়ে ফেলে।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণাগ্রাহী রেখে গেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আমিনুল হক ২০০১-০৬ মেয়াদে চার দলীয় জোট সরকারের ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে গোদাগাড়ী Ñ তানোর উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা Ñঘাট, ব্রীজ কালভাট ব্যপক উন্নয়ন করে মানুষের মাঝে জায়গা করে নেন। আবহেলিত রাজশাহী বাসী কে উন্নয়নের পথ দেখান।
গোদাগাড়ীতে ফাজিলপুর কবর ম্থানে পিতা মাতার কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক। বিকাল ৫টায় গোদাগাড়ী কলেজ সংলগ্ন মাঠে ব্যরিস্টার আমিনুল হকের জানাজা শেষে ফাজিলপুর কবর স্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ন-মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল,রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধরন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, চাপাইনবাবগেঞ্জর সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিলন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুস সালাম শাওয়াল, গোদাগাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসহাক আলী ও জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার আগে দোয়া চেয়ে বক্তব্য রাখেন, ব্যারিস্টার আমিনুল হকের বড় ভাই ও পুলিশের সাবেক আইজিপি ড.এনামুল হক।উল্লেখ্য যে রোববার সকাল সাড়ে ৯ টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোটে থাকা অবস্থায় মৃত্য বরণ করে।
রাজশাহী-১ আসস থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি সরকারের সংস্থাপন প্রতিতমন্ত্রী ও ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন