বরেণ্য রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক, নাটোর চেম্বার এ্যান্ড কমার্সের সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকের জানাজায় ছিল মানুষের ঢল। অওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী তথা দলমত নির্বিশেষে সকল স্তরের মানুষের অংশগ্রহন ছিল জানাজায়। তিনি রবিবার বিকাল ৫ টার দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিজ বাড়িতেই মৃত্যুবরণ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে নাটোর জেলা শাখার জাতীয়তাবাদি যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হয়েছিলেন। তিনি নাটোরের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক জনদেশের প্রকাশক। মৃত্যুকালে তিনি এক স্ত্রী. এক পুত্র ও এক কণ্যা সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
সোমবার দুপুরে শহরের এনএস সরকারী কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে এই বরেণ্য রাজনীতিবিদের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তাঁর জানাজার নামাযে নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী মহানগরের বেএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম মিলন, নাটোর পৌরসভার সাবেক মেয়র এমদাদুল হক আল মামুন শরীক হয়েছিলেন। এছাড়াও এই বরেণ্য রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহি কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) এ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু জানাজার নামাযে ভিডিও কনফারেন্সিংএর মাধ্যমে নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন আমিনুল হক বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদি দর্শনে বিশ্বাসী একজন নিবেদিত প্রাণ নেতা। আমিনুল হকের মৃত্যুতে নাটোর জেলা বিএনপির বড় ধরনের ক্ষতি হলো বলেও তিনি জানান। তিনি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
মরহুম আমিনুল হকের নামাযে জানাজা সোমবার বাদ যোহর এনএস সরকারী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত পর তাঁকে মাদ্রাসা মোড় গাড়ীখানা কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন