চিকিৎসাধীন মাকে বগুড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাকে দেখে ফেরার পথে খুন হন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সৈয়দ আপেল মাহমুদ নামের এক তরুন ব্যবসায়ী। অসুস্থ মা আয়েশা বেগম একমাত্র সন্তানের খুনের খবরে তিনিও মারা যান। গণ বৃহস্পতিবার রাতে গোবিন্দগঞ্জের পার্শ্ববর্তী বগুড়া জেলার কাহালু থানা পুলিশ আপেল মাহমুদ নামে ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেন। তিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফাঁসিুলা মোঘলটুলি গ্রামের সৈয়দ আব্দুল ওহাব ডিপটির ছেলে। আপেল ‘ইনডেক্স বিজসেন কো-অপারেটিভ সোসাইটি’ নামে একটি আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
নিহত আপেলের চাচা সৈয়দ আশরাফুল আলম মানিক বলেন, তার মা আয়েশা বেগম ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আপেল তার মাকে দেখতে ওই হাসপাতালে যান। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার জন্য হাসপাতাল থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকে আপেলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। পরে ফেসবুকের মাধ্যমে তার লাশের ছবি দেখে কাহালু থানায় গিয়ে লাশ সনাক্ত করে। এ খবর জেনে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মা আয়েশা বেগম শুক্রবার দুপুরে মারা যান।
আপেলের ভগ্নিপতি একরামুল হক বলেন, আপেল ছিলেন পরিবারে সবচেয়ে ভালো মানুষ। তার কোন শত্রু ছিল বলে কেউ বলতে পারবে না। তাকে কেন খুন করা হলো বিষয়টি বুঝতে পারছি না। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচার দাবি করেন।
কাহালু থানা সুত্রে জনা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বারমাইল-নামুজা সড়কে ছাতারপুকুর এলাকা থেকে আপেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সম্ভবত দুর্বৃত্তরা গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার পর কাহালু থানা এলাকায় ফেলে গেছে। লাশের পাশে কয়েকটি চাবি, নগদ টাকা এবং কলম পড়ে ছিল। হত্যার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের পরিবার এ বিষয়ে মামলা করলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে শুক্রবার সন্ধায় ফাসিুলা হাইস্কুল মাঠে মা-ছেলের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদেরকে দাফন করা হয়। মা-ছেলের এমন মৃত্যুতে পরিবাবে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাকে বা কারা হত্যা করল, কেন হত্যা করল এ নিয়ে এলাকায় চলছে ব্যাপক গুঞ্জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন