টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের হেফাজত থেকে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে স্হানীয় সাবেক এক ওয়াড কমিশনার সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ছিনিয়ে নেয়া আসামিকে এখনও উদ্ধার বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ৫৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. সেলিম হোসেন, জোসনা, জাহিদুল ইসলাম মিথুন, মুন্নি বেগম, রাজু, রেখা বেগম, কামরুল হাসান মুন্না, হাফিবুর রহমান ওরফে আকাশ, রুহুল আমিন, এবং সানোয়ার হোসেন ।
টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন জানান, টঙ্গী পশ্চিম থানার পরিদর্শক মো. সহিদুর রহমানের নেতৃত্বে শনিবার রাত পৌণে ১০টার দিকে কয়েকজন পুলিশ স্থানীয় জিন্নত মহল্লা বস্তিতে অভিযান চালায়। পরে পুলিশ ওই এলাকা থেকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি টিপুকে গ্রেফতার করে। পুলিশ তাকে নিয়ে থানায় ফেরার পথে স্থানীয় জিন্নত মহল্লাবাসী বাইতুল আলিম জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে টিপু চিৎকার শুরু করে। টিপুর ডাকচিৎকার শুনে তার সহযোগিরা গিয়ে পুলিশের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং টিপুকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে তার কারণ জানতে চায়।
এ সময় টিপুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে জানিয়ে কপি দেখানো কালে তারা পুলিশকে ঘিরে ফেলে এবং এক পর্যায়ে পুলিশের উপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে টিপুকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেয়। তাদের হামলায় পরিদর্শক সাহিদুর, এসআই রকিবুল হাসান, পিএসআই সাখাওয়াত, এএসআই শহিদুল ইসলাম খান, কনস্টেবল মো. শামিম আহত হন। এ সময় তারা পুলিশের একটি মোটরসাইকেলের ক্ষতিসাধন এবং শহিদুল ইসলামের ৩৫০০ টাকাসহ মানিব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা থেকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং আত্মরক্ষার্থে শ্যূটারগানের কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। টিপুর বিরুদ্ধে ৩টি রাজনৈতিক ২টি মাদকের এবং ১টি খুনের মামলা রয়েছে। খুনের মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে।
টঙ্গী থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ সহিদুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন রাতে ১৭ জনের নামে এবং ৩০/৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। টঙ্গী থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, রোববার সকালে বস্তি এলাকা থেকে হাতকড়াটি উদ্ধার করা হলেও ছিনিয়ে নেয়া আসামীকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন