বহুল আলোচিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অশুভ আতাতের ফসল বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে সরকার, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে অত্যন্ত অশুভ একটি আতাত হয়েছিল নিবাচনকে একতরফাভাবে নিজেদের পক্ষে নেয়ার ক্ষেত্রে। এ কারণেই ভোট কেন্দ্রগুলো ভোটার শূন্য ছিল। জনগণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া তথা নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বর্তমান সময়ে মানুষ চরম অস্থিরতার মধ্যে বসবাস করছে। ন্যুনতম নাগরিক অধিকার নেই কারোই। গতকাল সৈয়দপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সুজন সৈয়দপুর উপজেলা কমিটি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কার ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সুজন সৈয়দপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী (অব.) নুরুজ্জামান জোয়ারদার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা অংশ গ্রহণ করেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এ ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত কারো জন্যই শুভ নয়, এটি কোনো কল্যাণই বয়ে আনবে না। কোনো দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হলে সে দেশে নানা অনিয়ম ও অরাজকতার বিস্তার ঘটে। এর ফলে সার্বিক রাষ্ট্রযন্ত্র দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। যার সুযোগ নিয়ে বিপথগামী চক্র প্রভাব বিস্তার করে পুরো রাষ্ট্রকে করায়ত্ত¡ করতে তৎপর হয়।
সুজন সম্পাদক বলেন, এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনও ছিল একতরফা, যা দেশের ইতিহাসে কলংকময় অধ্যায় হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। ইতোপূর্বেও অনেক নির্বাচন একতরফাভাবে হয়েছে। তবে সেগুলোতে নির্বাচিত সরকার পরবর্তীতে সকল দলের মতামতের ভিত্তিতে কিছুদিনের মধ্যেই আবারও নির্বাচন দিয়েছিল। কিন্ত ২০১৪ সালের নির্বাচনে গঠিত সরকার তা করেনি। বরং কথা দিয়েও তারা কথা রাখেনি। এ ধরনের দৃষ্টান্ত গণতন্ত্রের জন্য চরম হুমকি স্বরূপ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন