শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

হবিগঞ্জে প্রেমিকার হাতে প্রেমিক খুন আদালতে দায় স্বীকার

হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

লাখাইয়ে একাধিক প্রেমের কারণে প্রেমিকার হাতে খুন হলেন উজ্জল মিয়া নামে এক কলেজছাত্র। নিখোঁজের ২ মাস পর ওই ছাত্রের বস্তাবন্দি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে লাখাই থানা পুলিশ।
নিহত উজ্জল উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের শাহ আলম মিয়ার পুত্র ও মাধবপুরের সৈয়দ সঈদ উদ্দিন কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র। এ ঘটনায় প্রেমিকা বৃন্দাবন কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী ফারজানা আক্তার ও তার পিতা মঞ্জু মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর গত সোমবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ প্রেস ব্রিফ্রিংয়ের মাধ্যমে ঘটনার বর্ণনা দেন। পরে মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে প্রেমিকা ফারজানা আক্তার ও তার পিতা মঞ্জু মিয়া তৌহিদুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী ফারজানা আক্তারের সাথে ঘটনার প্রায় ৩/৪ মাস পুর্বে ফেইসবুকের মাধ্যমে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। নিহত উজ্জলের একাধিক মেয়ের সাথে প্রেম ও শারিরীক সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশ ও বিভিন্ন সুত্র নিশ্চিত করে। ঘটনার দিন প্রেমিকা ফারজানার পরিবারের লোকজন বাড়িতে না থাকায় প্রেমিক উজ্জলকে খবর দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। সেই সাথে তারা দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এ সময় তাদের মাঝে কথাকাটাকাটি হয়।
রাতে প্রেমিক উজ্জল ঘুমিয়ে পড়লে প্রেমিকা ফারজানা আক্তার শিলা দিয়ে (পাঠা-পুতাল) প্রেমিক উজ্জলের মাথায় আঘাত করলে উজ্জল জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে ওই শিলা দিয়ে উজ্জলের বুকে, পিঠেসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে একাধিক আঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চত হতে ছুরি দিয়ে প্রেমিক উজ্জলের হাত ও গলার রগ কেটে দেয়। পরে তার লাশ ঘরের মেঝেতে মাটি চাপা দিয়ে পর দিন সকালে ঢাকায় বাবা-মায়ের কাছে চলে যায়।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা (বিপিএম-পিপিএম) এর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, লাখাই থানার ওসি এমরান হোসেন এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমিনুল ইসলামসহ একদল পুলিশ গত রোববার সকালে ধর্মপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ফারজানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন