শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

হ্যাট্রিক কমিশনার লিয়াকত চতুর্থ বার লড়ছেন

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

ময়মনসিংহ ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের (মসিক) প্রথম নির্বাচনে টিফিন বক্স প্রতীক নিয়ে চতুর্থ বারের মতো লড়ছেন হ্যাট্রিক কমিশনার মো. লিয়াকত আলী। এর আগে নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডের ভোটারদের বিপুল সমর্থনে টানা তিন বার কমিশনার ও কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ফলে তার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে এবারও তাকে ঘিরেই ভোটারদের যত আলোচনা।
জানা যায়, মসিকের প্রথম নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় আওয়ামী লীগ নেতা ইকরামুল হক টিটু মেয়র নির্বাচিত হয়ে গেলেও ভোট যুদ্ধে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে কাউন্সিলর পদে। নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে লড়াই করছেন ২৪২ জন প্রার্থী এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭০ জন প্রার্থী রয়েছেন ভোট যুদ্ধে। আগামী ৫ মে অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনে ১২৭টি কেন্দ্রে প্রথম বারের মত ২ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৮ জন ভোটার ভোট প্রদান করবেন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
সূত্র জানায়, ১৯৮৯ সালে প্রথম কমিশনার পদে প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন লিয়াকত আলী।
এরপর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডে বদলে দেন অবহেলিত ১৯নং ওয়ার্ডের পুরোনো চেহারা। বিগত ১৫ বছরে বলাশপুর-ভাটিকাশর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নির্মাণ করেছেন সুয়ারেজ ড্রেন এবং অবহেলিত এ ওয়ার্ডটিকে নগরায়নে রূপ দিতে স্থানীয় জমসেদ মন্ডলের বাসা হতে আ. আউয়ালের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, লেংড়া মোড় হতে আ. কাদেরের বাড়ি পর্যন্ত আরসিসি রাস্তা, আকন্দ বাড়ি হতে শিমুলতলী পর্যন্ত আরসিসি রাস্তা, বলাশপুর মোড়ল বাড়ি হতে ময়নার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা, বলাশপুর প্রাইমারী স্কুলের রাস্তাসহ এলাকার অলিগলির রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডে অবদান রাখেন তিনি। এসব কারণেই ভোটের মাঠে এবারও ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন তিনি।
বলাশপুরের স্থায়ী বাসিন্দা শফি উদ্দিন আহম্মেদ মনু জানান, দলমত নির্বিশেষে সব মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন লিয়াকত। দুই বার কমিশনার এবং একবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে পর্যাপ্ত সুযোগ থাকার পরও টাকার পেছনে না ছুটে জয় করেছেন এলাকাবাসীর মন। ফলে অতীতের ন্যায় এবারও তিনি নিজের জমি বিক্রি করে নির্বাচনী খরচ সংগ্রহ করছেন। যা তার সততার অনন্য দৃষ্টান্ত।
নির্বাচন কমিশন সূত্র মতে, মো. লিয়াকত আলী তার হলফনামায় পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ১৯শতক জমিই নিজের সম্পদ বলে উল্লেখ করেছেন। তার মাসিক আয় মাত্র ২২ হাজার টাকা।
মো. লিয়াকত আলী বলেন, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৬০শতক জমি আমার মূল সম্পদ ছিল। জীবনের প্রথম নির্বাচন করেছি বাবার জমি বিক্রি করে। একই ভাবে নির্বাচনী খরচ সংগ্রহ করে আরো দুইটি নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছি। পেয়েছি অসংখ্য মানুষের অফুরন্ত ভালোবাসা। তাই গরীবের হক দিয়ে নিজেকে বিত্তবান করতে পারিনি। আশা করছি এবারও এলাকাবাসীর ভালোবাসায় বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন