বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় দুই গ্রুপের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (সর্বহারা) দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন–আফসার আলী (৪৫) ও লিটন (৪০)।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তল, ১টি ওয়ান শুটার, ৮ রাউন্ড গুলি, ২টি চাপাতি ও পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির হাতে লেখা ৩টি পোস্টার জব্দ করে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর বাজার এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী এ খবর জানান।
তিনি জানান, ভবানীপুর বাজার এলাকায় দুই গ্রুপ সন্ত্রাসীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখানে গুরুতর আহত অবস্থায় দুই জনকে পড়ে থাকতে দেখে। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নাম জানা গেলেও তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। তবে নিহত দুজনই সর্বহারা পার্টির সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, যোগ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এর আগে সোমবার (০৮ এপ্রিল) দিনগত রাতে পৌনে ১২টার দিকে শেরপুর উপজেলায় টহল পুলিশের ওপর চরমপন্থি দলের সশস্ত্র হামলায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নান্নু মিয়া (৪২) গুলিবিদ্ধ হন।
ওই রাতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নান্নু মিয়ার নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি টহল দল প্রতিদিনের মতো উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর বাজার এলাকায় টহল দিচ্ছিলো।
টহল দলের গাড়িটি যখন ভবানীপুর মন্দির লাগোয়া রাস্তা হয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলো। ঠিক সেই সময় চরমপন্থি দলের সদস্যরা ভবানীপুর বাজার এলাকায় পোস্টারিং করছিলো।
এ সময় টহল পুলিশের দলটি তাদের চ্যালেঞ্জ করলে চরমপন্থিরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। চরমপন্থিদের গুলিতে ডান হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হন পুলিশ কর্মকর্তা নান্নু মিয়া। তবে অটোরিকশা চালক ও অপর দুই পুলিশ সদস্য অক্ষত থাকেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন