শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পানিবদ্ধতা সহনীয় মাত্রায় আনা হবে : সাঈদ খোকন

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, রাজধানীতে ৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হলে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সাপোর্ট করে না। যে কারণে অতিবর্ষণে পানিবদ্ধতা হবে না- এটা শতভাগ বলতে পারবো না। বিশ্বের অনেক শহরে ভারি বর্ষণ হলে পানিবদ্ধতা হয়। এ সমস্যা পৃথিবী জুড়েই। কিন্তু আমরা এটাকে একটা সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনতে চাই। তিনি বলেন, ভারি বর্ষণ হবে আর সঙ্গে সঙ্গে পানি নেমে যাবে- এটা বলা যাবে না। একেবারে পানিবদ্ধতা নিরসন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
‘আসন্ন বর্ষায় পানিবদ্ধতা নিরসনে জনপ্রতিনিধিদের ভ‚মিকা ও নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক এক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন। গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের তৃতীয় তলায় (স্বাধীনতা হল) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে নগরীর পানিবদ্ধতা বিষয়ে মেয়র সাঈদ খোকন সংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন।
মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে যদি এক ঘণ্টা অতিমাত্রায় বৃষ্টি হয়ে যায় তাহলে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হবে, পানি জমে যাবে। সেই পানি নেমে যাবে কিন্তু নামতে তিন চার ঘণ্টার মত সময় লাগবে। এখান থেকে বের হয়ে আসা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। যে খালগুলো দিয়ে পানি নেমে যাবে সেই খালগুলোর অনেকখানি দখল হয়ে গেছে। যেখানে গিয়ে পানি পড়বে সেই নিম্নাঞ্চল গুলো ভরাট হয়ে গেছে। স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। যার ফলে পানি নামা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।
সাঈদ খোকন বলেন, ভারি বর্ষণজনিত পানিবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার। তবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় যদি মনে করে এই দায়িত্ব জনগণের কাছে যাদের জবাবদিহিতা আছে, জনগণের কাছে যারা দায়বদ্ধ তাদের দেবে তাহলে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এই দায়িত্ব আমরা নিতে প্রস্তুত আছি। পানিবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা ওয়াসা একটি প্রকল্প প্রহণ করেছে। এরই মধ্যে আমরা আমাদের আওতাধীন ড্রেনগুলো পরিষ্কার করে ফেলেছি।
মেয়র সাঈদ খোকন আরও বলেন, আমরা বসে নেই। রাজধানীবাসীকে যেন পানিবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাতে না হয় সেজন্য আমরাও কাজ করছি। শান্তিনগর, নাজিমুদ্দিন রোডের মতো জায়গায় ৪০ বছর বা তার চেয়েও বেশি সময় ধরে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। এসব এলাকার পানিবদ্ধতা নিরসনে আমরা কাজ করেছি। এখন আর আগের মতো এসব এলাকায় পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয় না।
একটি উদাহরণ টেনে মেয়র বলেন, আমি বলতে চাই, যেসব খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হবে সেই খালগুলোর দায়িত্বে রয়েছে জেলা প্রশাসন। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে ঢাকা ওয়াসা। আর এই খালগুলোতে মানুষের ফেলা ময়লা আবর্জনা যেন না যায় সেই বিষয়ে মানুষকে বোঝানো ও সচেতন করার দায়েত্ব হচ্ছে আমাদের। এসব বিষয় যদি একটি সংস্থার অধীনে নিয়ে আসা যায় তাহলে সেবা প্রদান করা বা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হবে। ###

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন