চঞ্চলতা আর দুরন্তপনায় মত্ত চার বছরে শিশু মাহির মোশারফ। এক মিনিট স্থির থাকার যেন ফুসরত নেই। অথচ শিশু মাহির জানেনা তার বাবা পুলিশ সদস্য মোশারফ হোসেন আর ফিরবে কি ফিরবে না। মা শামীমা বেগম কাঁদছেন। তার গগন বিদারী চিৎকারে হাইমচরের বাতাস ভারী হয়ে ওঠছে। স্বামীর লাশ একবার দেখার সুযোগ পায় কিনা সে নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। গত দুই বছর ধরে একসাথেই দুইজন চাকরি করছেন চাঁদপুরের হাইমচর থানায়। ছয় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। মোশারফের বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার বারবকুন্ড এলাকার মিজিপাড়ায়।
শুক্রবার রাতে চাঁদপুরের হামইচরে পুলিশ ও জেলেদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজ হন পুলিশ সদস্য মোশারফ হোসেন। রাত থেকেই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, কোস্টগার্ড নদীতে তল্লাশি চালালেও এখনো খোঁজ মেলেনি। অবশ্য খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, হাইমচরের চরকোড়ালিয়ায় শুক্রবার রাতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে পুলিশ অভিযান চালায়। কিন্তু নদীতে পুলিশ দেখে জাটকা ধরতে থাকা অসাধু জেলেরা হামলা চালায় পুলিশের উপর। পুলিশ আত্মরক্ষায় পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেন নদীতে পড়ে যায়। তারপর থেকে এখনো নিখোঁজ সে।
মোশারফের স্ত্রী শামীমা আক্তার জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় অভিযানে যোগ দিতে বাসা থেকে বের হন তিনি। তারপর রাত ২টার দিকে বাসায় খবর দেয়া হয় মোশারফকে পাওয়া যাচ্ছে না।
হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মুহসিন আলম জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও পুলিশ সদস্য মোশারফ নিখোঁজ হয়। তারপর ফায়ার সার্ভিস কোস্টগার্ডসহ নদীতে উদ্ধার অভিযান চালালেও এখনো মোশারফকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন