শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

স্কুলছাত্রীকে কোপালো বখাটে

মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

কুলাউড়ায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সামিরা আক্তার নামে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রকাশ্যে দা দিয়ে কুপিয়েছে এক বখাটে। এসময় বখাটে জুয়েল আহমদকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। আহত সামিরার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার কুলাউড়া-ঘাটের বাজার সড়কের মীরশংকর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। সামিরা কুলাউড়া পৌর শহরের সাদেকপুরস্থ আল হেরা ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। সামিরা উপজেলার মীরশংকর গ্রামের আরব আমিরাত প্রবাসী সরফ উদ্দিনের বড় মেয়ে।
স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও ছাত্রীর মা সাহারা বেগম সূত্রে জানা যায়, সামিরা ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উপজেলার ভ‚কশীমইল ইউনিয়নের সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে থাকাবস্থায় সাদিপুর গ্রামের মৎস্যজীবী বকুল মিয়ার পুত্র জুয়েল আহমদ প্রায়ই সামিরাকে উত্যক্ত করতো। বিষয়টি ছাত্রীর অভিভাবকরা স্থানীয় মেম্বর ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। পরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জুয়েলের পিতার কাছ থেকে ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করবে না এই মর্মে মুছলেকা নেয়। এ ঘটনার পর ভয়ে ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা তাকে কুলাউড়া পৌর শহরের আল হেরা ক্যাডেট স্কুলে ৭ম শ্রেণিতে ভর্তি করেন। এরপরও ওই যুবক সামিরাকে প্রায়ই উত্যক্ত করতো।
গতকাল দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ির ফেরার পথে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে মীরশংকর বাজারে গিয়ে নামে সামিরা। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে বাড়িতে প্রবেশের সময় রাস্তায় একা পেয়ে জুয়েল প্রকাশ্যে ধারালো দা দিয়ে তাকে কোপাতে থাকে। স্থানীয়রা সামিরার চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তার মাথায় ও কানে দায়ের কোপ রয়েছে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এদিকে স্থানীয়রা জুয়েলকে আটক করে কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। ছাত্রীর মা সাহারা বেগম আহাজারী করে বলেন, জুয়েল আমার বড় মেয়েকে সব সময় উত্যক্ত করতো। স্থানীয় মেম্বার বিষয়টি জানতেন। আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন। আমার মেয়ের জীবন সঙ্কটে। আমি আমার মেয়ের হত্যা চেষ্টাকারীদের উপযুক্ত বিচার চাই।
সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির জানান, ওই ছাত্রী ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে থাকাবস্থায় জুয়েল তাকে উত্যক্ত করতো। বিষয়টি জানার পর আমরা স্কুলের শিক্ষক ও তাদের এলাকার মেম্বারসহ জুয়েল ও তার পিতাকে ডেকে নিয়ে তাদের মুছলেকা রাখি যাতে পরবর্তীতে ছাত্রীকে উত্যক্ত না করে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ারদৌস হাসান বলেন, জুয়েলকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন