দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার এক তৃতীয়াংশ বেড়িবাঁধ অরক্ষিত। দ্বীপের মোট ৪০ কি.মি বেড়িবাঁধের সাড়ে ১৩ কি.মি এখন অরক্ষিত। বর্ষা মৌসুমের আগেই এই বেড়িবাঁধ সংস্কার করা না হলে গোটা কুতুবদিয়া সাগরের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন দ্বীপবাসী।
জানা গেছে, কুতুবদিয়া দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমাংশে টেকসই বাড়িবাঁধ না থাকায় গত বছর বর্ষা মৌসুমে সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে ব্যাপক এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে কায়সার বাপের পাড়া এলাকা থেকে দুই পাশের প্রায় ১৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ একেবারেই বিলীন হয়ে যায়। এ সময় সাগরের পানির সাথে একাকার হয়ে গিয়েছিল কুতুবদিয়া।
গত অর্থ বছরে এই বেড়িবাঁধ সংস্কারে একশত কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। রাষ্ট্রীয় একটি বিশ্বস্থ সংস্থা নৌবাহিনী নামে এই কাজটি নেয়া হলেও কিছু অদক্ষ এবং অনভিজ্ঞ লোক এখন এই কাজটির ঠিকাদারিতে নিয়োজিত। অর্থবছর শেষ হয়ে যাওয়ার সময় হলেও কাজের অগ্রগতি তেমন হয়নি খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এক থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকায় মাত্র কাজের অগ্রগতি হয়েছে। তাতেও কাজের মান মোটেই ভাল নয়।
গত বুধবার উপজেলার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উত্তর ধুরুং কাইচার বাপের পাড়া পয়েন্টে অডিটটিম ভিজিট করেন। এসময় টিমের সাথে উপস্থিত ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা অফিসার (এসও) এলটন চাকমা, কোস্ট ট্রাস্ট্রের সিএফটিএম প্রকল্পের কক্সবাজার জেলা কো-অর্ডিনেটর মকবুল আহমদ, জলবায়ু ফোরামের সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম.এম.হাছান কুতুবী, কার্যনির্বাহী সদস্য নেচার আহমদ চৌধুরী, মাহবুবা আখতার এমইউপি, সাবেক এমইউপি দিলশাদ আরজুম হ্যাপী ও এনি আখতার।
ওই অডিটটিমের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট মহলের সিমাহীন অনিয়ম ও দায়সারা কর্মকান্ডের কারণে সাড়ে ১৩ কি.মি. এলাকায় টেকসই বাঁধে জন্য ২০১৭-১৮ অর্থ সনে বরাদ্দকৃত প্রায় ১০০ কোটি টাকার নির্মাণ প্রকল্প কাজের মাত্র এক/দেড় কি.মি. এলাকায় কাজ হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাগরের করাল গ্রাসে ভাঙতে ভাঙতে ছোট হয়ে আসছে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া। এখানে পৌনে দুই লাখ জনগণের বসবাস। দু’টি কলেজ একটি ফাজিল মাদরাসাসহ সরকারি বেসরকারী ১১৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও এখানে রয়েছে ২০টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন