বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’ ও ‘প্রত্যাশা’। চীনে তৈরি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উন্নততর প্রযুক্তির উভয় যুদ্ধজাহাজ গতকাল (শনিবার) চট্টগ্রামের পোতাশ্রয়ে এসে পৌঁছায়।
‘সংগ্রাম’ ও ‘প্রত্যাশা’ নামক এ দুইটি যুদ্ধজাহাজ শিগগিরই নৌবাহিনীর বহরে যোগ করা হবে। গতকাল নেভাল জেটিতে যুদ্ধজাহাজ দু’টিকে স্বাগত জানান চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আবু আশরাফ। নৌবাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাহাজ দু’টির দৈর্ঘ্য ৯০ মিটার এবং প্রস্থ ১১ মিটার। উভয় জাহাজ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত গতিবেগে ছুটে চলতে পারে। জাহাজ দু’টিতে রয়েছে শত্রু বিমান, জাহাজ ও শত্রু স্থাপনায় আঘাত হানতে সক্ষম আধুনিক কামান। ভূমি থেকে আকাশ এবং ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য মিসাইল সংযোজন করা আছে জাহাজ দু’টিতে।
অত্যাধুনিক থ্রিডি রাডার, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, রাডার জ্যামিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন যুদ্ধ সরঞ্জামও রয়েছে উভয় জাহাজে। এছাড়া হেলিকপ্টার অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য ডেক ল্যান্ডিং সুবিধার সমন্বয় রয়েছে।
২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর চীনের শিপ বিল্ডিং অ্যান্ড অফশোর ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের চুক্তি সম্পাদন করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট জাহাজ দু’টির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় তিন বছর পর নির্মাণ শেষে গত ২৮ মার্চ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে উভয় জাহাজ হস্তান্তর করা হয়। গত ১২ এপ্রিল জাহাজ দু’টি চীনের সাংহাই বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। চীনের ইয়ানতিয়ান বন্দর ও মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দর হয়ে প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে গতকাল দুপুরে উভয় জাহাজ চট্টগ্রামে এসে পৌঁছায়।
সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ঘোষিত ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’-এর আওতায় উপরোক্ত দু’টি যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে সংযোজন করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন