প্রেমের সম্পর্ক থাকার পরেও প্রেমিক বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মানসিক ও সামাজিক অপমান সইতে না পেরে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করে। কলেজ ছাত্রী তানিয়া বেগম মধ্যেরচর গ্রামের মীর বাড়ির মিলন মিয়ার মেয়ে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের স্বজনরা জানান, প্রেমের টানে গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের প্রবাসী কালাম মিয়ার মিজানুর রহমান (২৪) তানিয়ার সাথে দেখা করেত তার বাড়িতে যায়। এমন সময় এলাকার কিছু লোকজন বাড়ি ঘেরাও করে মিজানকে আটক করে। পরদিন বেলা ১১ টার দিকে স্থানীয় নেতারা দুজনকে বিয়ে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর ২শ’ টাকার স্ট্যাম্পে মুচলেকা নিয়ে কৌশলে মিজানকে ছেড়ে দেয়। মিজান ছাড়া পেয়ে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করে। এদিকে এলাকার লোকজন এ ঘটনায় মেয়ের পরিবারকে গালাগালি, বাড়িতে ঢিল ছুড়া ও মানষিকভাবে নির্যাতনসহ পরিবারটিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। নিহত তানিয়ার গত কয়েক বছর আগে বিয়ে হলে তাদের মাঝে ডিভোর্স হয়। পরে সে এক মেয়ে নিয়ে বাবার বাড়িতেই বসবাস করছিলো। নিজের এবং মেয়ের ভরণ পোষণের জন্য স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নার্সের চাকুরির পাশাপাশি সরকারি জিল্লুর রহমান অর্নাস মহিলা কলেজে অনার্স ফাইনাল বর্ষের পরীক্ষার্থী ছিল।স্বজনরা পুলিশকে খবর দিলে বেলা পৌনে ২টার দিকে এসআই আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোখরেছুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জে প্রেরণ করা হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে মাঠে কাজ করছে ভৈরব থানা পুলিশ। গতকাল সকালে ভৈরব সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মো: রেজওয়ান দিপু ও ভৈরব থানার ওসি তদন্ত বাহলুর আলম খানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনা তদন্তে গিয়ে দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন