শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভাড়া জাহাজে বছরে খরচ আড়াই হাজার কোটি টাকা

সংসদে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশকে নির্ভর করতে হয় বিদেশি জাহাজের ওপর। এতে জাহাজ ভাড়ার পেছনেই এক বছরে সরকারের ব্যয় হয় দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এ কারণে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়াতে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের এক প্রশ্নের উত্তরে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকাল ৪টায় সংসদের এ অধিবেশন শুরু হয়। প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের জাহাজের বহরে বর্তমানে ৪৭টি জাহাজ রয়েছে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজবহরে ২০৪১ সালের মধ্যে আরো মোট ৩২টি জাহাজ সংযোজন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২টি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার, ২টি মাদার ট্যাংকার, ১৮টি বাল্ক ক্যারিয়ার, ৬টি এলএনজি ক্যারিয়ার এবং ৪টি সেলুলার কনটেইনার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে ৫ হাজার ডিডব্লিউটির ঊর্ধ্বে ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ বাংলাদেশি পতাকায় রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে এনবিআর আরোপিত ভ্যাটের ১৫ শতাংশ মওকুফ করেছে। এছাড়া দেশের আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যে সরকারি খাতে পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএসসির মাধ্যমে স্বল্প মেয়াদে ২০২১ সালের মধ্যে ২টি নতুন মাদার ট্যাংকার এবং দু’টি নতুন ডিজেল পরিবহন উপযোগী প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার এবং দু’টি কয়লা পরিবহন উপযোগী মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার সংগ্রহের প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের উত্তরে নৌ-প্রতিমন্ত্রী জানান, ঢাকার চার পাশের নদীগুলোর তীরভূমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও উদ্ধার, তীরভূমিসহ নদীর কিনারায় ওয়াল নির্মাণ, ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, নদীর তীরভূমি সংরক্ষণ ও পরিবেশ উন্নয়ন, নৌ-পথ ও নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নদীদূষণ রোধে নদী থেকে প্রায় ৮ লাখ ঘনফুট বর্জ্য/ময়লা অপসারণ করা হয়েছে। নৌযান থেকে নদীতে বর্জ্য না ফেলার জন্য নৌযানের শ্রমিক, মালিক ও যাত্রীদের নিয়মিত সতর্ক করাসহ তদারকি করা হচ্ছে। নিয়মিত মাইকিং করে নদীতে বর্জ্য না ফেলার অনুরোধ করা হচ্ছে। শিল্প কারখানা ও গৃহস্থালি বর্জ্য মুখ বন্ধ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন