গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া এবং শিক্ষার মাধ্যমে মানসম্মত দক্ষ জনবল গড়ে তোলার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতার বাধা অতিক্রম করতে আইসিটি তথ্য ও শিক্ষার প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করার ক্ষমতা রাখে।
শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করার প্রক্রিয়া হিসেবে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকেও ডিজিটাল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। অতি সম্প্রতি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের জন্য মাদরাসা এডুকেশেন ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (MEMIS) সফটওয়্যার ডেভেলপ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, সারা দেশের ৭৬১৮ টি এমপিও ভুক্ত মাদরাসার ১৪৭৮০০ জন শিক্ষক ও কর্মচারীদের প্রতিমাসে বেতন, ভাতা, এমপিও ভুক্ত করণ ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা এবং অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাযক্রম পরিচালনা করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে সারাদেশের এমপিও ভুক্ত মাদরাসাগুলোর প্রধানদের নিয়ে সফটওয়্যারটির কাযক্রম পরিচালনা শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ) জনাব এ.কে.এম জাকির হোসেন ভূঞা কর্মশালার শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ) জনাব ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ) জনাব মোঃ মাশুক মিয়া, যুগ্ম সচিব (কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ) জনাব অজিত কুমার ঘোষ।
কর্মশালাটি সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), জনাব সফিউদ্দিন আহমদ। সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন মোঃ এনামুল হক, প্রকল্প পরিচালক মাদরাসা এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (MEMIS) সাপোর্ট প্রকল্প।
উক্ত র্কমশালায় সফটওয়্যারটির প্রশিক্ষণ র্কাযক্রম পরচিালনা করে সফটওয়্যারটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বিলিভ আইটি ও ডিডিসি।
এছাড়াও কর্মশালায় প্রকল্পের কর্মকর্তা জনাব মোঃ শরিফুল ইসলাম,( প্রোগ্রামার) সফটওয়্যারটির বিভিন্ন মডিউল সম্পর্কে দিক নির্দেশনা মূলক আলোচনা তুলে ধরেন। সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের সিস্টেম এনালিস্ট মোঃ কামাল হোসেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন