স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা বৈধ বলে দেয়া হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার এ রায় প্রকাশ করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এই রায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন আটকে থাকা এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম আবার শুরু হচ্ছে। তিনি বলেন, ২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি হাতে পেয়েছি। বর্তমানে মামলাটি নিম্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দিষ্ট সময়ে আপিল করা হবে। মাহবুবউদ্দিন খোকন অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা চলমান রেখে রাজনীতি করতে চাইছে। কারণ, সরকারের কোনো জনসমর্থন নেই। মামলাই হচ্ছে তাদের একমাত্র অস্ত্র। এর আগে গ্যাটকো ও নাইকো দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনও হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায়। ওই দুটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতেও নির্দেশ দেয়া হয়। এই মামলায় ২০০৮ সাল থেকে জামিনে আছেন বেগম খালেদা জিয়া। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে রায় দেয়। প্রায় নয়মাস পর পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণা করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তার মন্ত্রিসভার ১০ সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা হয়। ওই বছর ৫ অক্টোবর ১৬ জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দেয় দুদক। চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় মামলায়। মামলাটি বাতিলের আবেদন করলে ২০০৮ সালে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে। মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন