শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ফেনীতে মিথ্যাচার করে জিডি করায় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সজলের জিডি

ফেনী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ মে, ২০১৯, ৪:৩০ পিএম

মিথ্যাচার করে জিডি করায় ফেনী সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় জিডি করেছেন সময় সংবাদের ফেনী ব্যুরো অফিসের রিপোর্টার আতিয়ার হাওলাদার সজল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনী মডেল থানায় ৬৮ ক্রমিকে জিডি রেকর্ড করেন। এসময় ফেনী প্রেস ক্লাব কর্মকর্তারাসহ ফেনীর প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন আলোচিত নুসরাত হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত ৯ এপ্রিল তাকে প্রত্যাহারের ৪ দিন পর ১৪ এপ্রিল ২০১৯ সালের ৫৬৭ ক্রমিকে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি জিডি করেন। জিডির একটি অংশে বলা হয়- গত ০৬ এপ্রিল নুসরাত জাহান রাফির শরীরে আগুন দেয়ার ঘটনার পর হতে অনেক সাংবাদিকসহ আরও বহিরাগত লোকজন থানায় আসেন এবং তার রুমে অনেকে আসা যাওয়া করেন। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন টেবিলে রেখে মাঝে মধ্যে ওয়াশ রুমে যাওয়াসহ মসজিদে নামাজ পড়তে যান। গত ০৮ এপ্রিল সজল ওই সুযোগে তাঁর অজ্ঞাতসারে তাঁকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করাসহ অন্যায় লাভের আশায় তার মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওটি শেয়ার ইট এর মাধ্যমে তাঁর অনুমতি ব্যাতিরেকে স্থানান্তর করে নিয়ে যায়। এটি তিনি তাঁর মোবাইল হিস্ট্রির পর্যালোচনায় জানতে পারেন। পরবর্তীতে উক্ত ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মর্মে উল্লেখ করেন।
এদিকে আতিয়ার সজল তার জিডি উল্লেখ করেন- গত ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার পর তৎকালীন সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনাটিকে গণমাধ্যমসহ সকলের কাছে আত্মহত্যার চেষ্টা বলে প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া ছিলেন। এই ধারাবাহিকতায় ৮ এপ্রিল অনুমান দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে তিনিসহ একাধিক গণমাধ্যম কর্মী তাঁর বক্তব্যের জন্য সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কক্ষে যান।
ভিডিওতে ওসির বক্তব্য ধারণের আগে তিনি জানান, তার নিকট ২৭ এপ্রিল তারই রেকর্ডকৃত ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির দুইটি জবানবন্দির ভিডিও ফাইল রয়েছে। সেটা দেখলেই বুঝা যাবে নুসরাতের মনে আগে থেকেই আত্মহত্যা করার প্রবনতা তৈরী হয়েছিল। সজল ভিডিও ফাইল দুইটি তাঁর কাছে সম্প্রচারের জন্য চাইলে তিনি স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে অতি উৎসাহী হয়ে নিজেই সজলের ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোনে স্থানান্তর করেন। এসময় উপস্থিত বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদেরকেও তিনি ভিডিও ফাইল দুইটি দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ss miah ২ মে, ২০১৯, ৫:০৪ পিএম says : 0
halara re maira fala
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন