জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারনে বা¯তচ্যুত জনগোষ্ঠীর জন্য সম্ভাব্য বিকল্প ব্যবস্থা অনুসন্ধানে সরকারকে সহায়তা ও ব্যবসায়িক উন্নোয়নে সম্ভাবনা চিহ্নিতকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । বৃহস্পতিবার দুপুরে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় আলোচনায় সুচনা বক্তব্য রাখেন মংলা পোট পৌরসভার মেয়র জুলফিকার আলী। তিনি বলেন, মংলা শহর বছরে ৬ মাস পানিতে তলিয়ে থাকতো । মংলাবাসি হিসেবে পরিচয় দিতে ইতস্থ করতো এখন মংলার চেহারা পালতে গেছে । মংলার উন্নয়নের ফলে মানুষ মংলাতে ঘুরতে আসে । মংলাকে নিয়ে অহংকার করে এখানকার লোকজন । সভার উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনায় অংশনেন ব্রিটিশ কাউন্সিলর জেরি ফক্স।
মংলার বর্তমান ব্যবসায়ীক চিত্র উপস্থাপন করেন বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট(বিল্ড) এর সিইও ফেরদৌস আরা বেগম। বাস্তচ্যুত জনগোষ্ঠির সম্ভাব্য বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে ধারনা উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেন্ট চেজ্ঞ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর পরিচালক ড.সালিমুল হক। উন্নয়ন মুলক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন মংলা বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান ও খুলনা উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান-বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ এস এম মাহমুদ হাসান।
সভায় বক্তারা বলেন,জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে দেশে বাস্তহারার সংখ্যা বাড়ছে। আর ওইসব বাস্তহারা মানুষ গুলো অধিকাংশ ঢাকায় গিয়ে অবস্থান নেন। এর ফলে রাজধানী ঢাকা হয়ে উঠছে বসবাসের অযোগ্য নগরী। এ জন্য মংলা বন্দর সহ উপকুলীয় এলাকার মানুষদের বসবাস যোগ্য করে তুলতে আর জলবায়ু ক্ষতির কবল থেকে রক্ষায় সবাইকে এক যোগে কাজ করার আহবান জানান বক্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,পরিবেশ বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন বিশিষ্ট জনরা।##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন