পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, হালদা প্রকল্পের কারণে জনস্বার্থ যাতে ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী। নদীর বেড়িবাঁধ ও নদী ভাঙনের কারণে প্রতিবছর নদীর পাড়ের ফসলী জমির ফসল নষ্ট হয়। তাছাড়া পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢল লোকালয়ে প্রবেশ করে বাড়িঘর ও বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে।
বসতঘরে বন্যার পানি ঢুকে মানুষের ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রধানমন্ত্রী জনগণের ক্ষতির কথা চিন্তা করে প্রাথমিক ভাবে ২শ’ ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে হালদা প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মিত হলে নদীর পাড়ের লোকজন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে। তাই প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার হালদা প্রকল্প পরিদর্শন, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
উপজেলার উত্তর মাদার্শা রামদাশ মুন্সিরহাট সংলগ্ন এলাকায় মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক একেএম সামশুল করিম, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর, প্রধান প্রকৌশলী মীর মোশারফ হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন কুমার বড়–য়া, প্রকল্প তত্ত¡াবধানকারী লে. কর্ণেল রুমিও নাওরিন খাঁন, কেন্দ্রীয় আ.লীগ নেতা শাহাজাদা মহিউদ্দিন ও মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম রাশেদুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন, ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে মঞ্জুর হোসেন চৌধুরী মাসুদ, সরোয়ার মোরশেদ তালুকদার, আবদুল মজিদ ও আবুবক্কর সিদ্দিক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন