লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালিয়া গ্রামে অন্ত:সত্ত¡া নারীসহ তিনজনকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সৃষ্ট ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে রায়পুর থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) গোলাম মোস্তফা ও পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারী লিয়াকত আলীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে রাখালিয়া গ্রামের নেহার বেগম বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
বুধবার রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালিয়া গ্রামে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জোর করে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে পুলিশ ও পল্লী বিদ্যুত কর্মচারি অন্ত:সত্ত¡া নারিসহ তিনজনকে মারধর করে। আহত নেহার বেগম, তাঁর মেয়ে অন্ত:সত্ত¡া শাহানারা বেগম ও রুবি আক্তারকে রায়পুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নেহার বেগম অভিযোগে জানান, একই এলাকার প্রতিবেশি জাকির হোসেন ও ইসমাইল পল্লী বিদ্যুতের প্লান অনুযায়ি বিদ্যুত সংযোগ না দিয়ে নেহার বেগমের বসতঘরের ওপর দিয়ে জোরপূর্বক তাঁদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার চেষ্টা করে । নেহার বেগম লাইন নির্মাণে বাঁধা দিয়ে রায়পুর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম, ইউএনও ও পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পরে বিষয়টি রায়পুর থানার এসআই গোলাম মোস্তফাকে তদন্ত করে মিমাংসা করতে বলা হয়। এ সময় লাইন নির্মাণ প্লান অনুযায়ি করার কথা বলে বিভিন্ন সময় নেহার বেগমের কাছ থেকে থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) গোলাম মোস্তফা ৮০ হাজার টাকা আদায় করে। অপরদিকে প্রতিপক্ষের সাথে এসআই গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় নেহার বেগমের সন্দেহ সৃষ্টি হলে তিনি লক্ষীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা করেন।
বুধবার পুলিশের উপস্থিতিতে নেহার বেগমের বসত ঘরের ওপর দিয়ে লাইন নির্মাণ করে। এতে নেহার বেগমসহ তার মেয়েরা বাঁধা দিলে তাঁকে ও অন্ত:সত্ত¡া মেয়ে শাহানারাসহ তিনজনকে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে মারধর করে জামা ছিড়ে শ্লীলতাহানি করে আহত করে। এ ঘটনায় তার ছোট মেয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখে। বিষয়টি উপ-পরির্দশক গোলাম মোস্তফা দেখতে পেরে জোর করে মেয়ের মোবাইল নিয়ে ভাংচুর করে ফেলে দেয়।
অভিযুক্ত রায়পুর থানার এসআই গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণে বাঁধা দেয়ার কারণে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহযোগিতা চায়। এ জন্য আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। মারধর ও টাকা নেয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এক পুলিশ ও পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারিসহ ১০জনকে অভিযুক্ত করে নেহার বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন