সেচ দেওয়ার ব্যপারে কিছু নীতিমালা থাকলেও সব জায়গায় প্রয়োগ তেমন নেই বললেই চলে। এক বিঘা ক্ষেতে কোন ফসলের জন্য কতটকু পানি প্রয়োজন, তার হিসাব জানেন না কৃষকরা। যার যেমন ইচ্ছা পানি তুলে ব্যবহার করতে পারায় এখানে অপচয়ও অনেক। অনিয়ন্ত্রিত সার প্রয়োগ ও বিষের ব্যবহারও দূষণ ঘটাচ্ছে পানির। এই পানিগুলো খালে গিয়ে পড়ছে। দূষণ ঘটাচ্ছে এখানেও। কম্পোজিট কেমিক্যালিজম পানিকে করে দিচ্ছে অধিক মাত্রায় দূষিত। ফ্যাক্টরির পানির এক ধরনের উপাদান, কীটনাশকের এক ধরনের উপাদান এবং সারের আরেক ধরনের উপাদান মিলে সম্পূর্ণ নষ্ট হচ্ছে ভারসাম্য। লবলং খালসহ গাজীপুরের প্রায় সব খালের পানিতে ব্যাঙের অস্তিত্বও এখন সম্পূর্ণ বিলীন বলা যায়। শিল্প কারখানাবেষ্টিত এলাকাগুলোর অবস্থা সব জায়গায় একই রকম। একটি গণমাধ্যমে শ্রীপুরের ভূগর্ভস্থ পানি নিয়ে গতকাল যে রিপোর্টটি ছাপা হয়েছে, তাতে মাটির ফাঁকা স্তর ও স্তরের কারণে ভূমিধসের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আরও ভয়াবহ হলো, এই ফাঁকা স্তরের কারণে দূষকগুলো নিম্নস্তরের প্রবেশের সম্ভাবনা আরও বেশি করে বেড়ে যাওয়া। এ কাজগুলোর জন্য এখন থেকেই ভাবতে হবে। কৃষি বিভাগ নির্দিষ্ট করে দিতে পারে, কতটুকু পানি কোন ফসলের জন্য বছরের কোন সময় সর্বোচ্চ পরিমাণ ব্যবহার করতে পারবে এবং গ্রামে সেচের কাজের পাম্পগুলো মিটারের আওতায় আনাও বড় কাজ হতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে সেন্ট্রাল সেচ ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারেও কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে সঠিক ও দূরদর্শী পদক্ষেপের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শ্রীপুর, গাজীপুর
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন