শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

দুর্যোগেও সম্ভাবনা হালদায় ডিম ছাড়তে পারে মা মাছ

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

 আমাবশ্যা ও ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে এশিয়ার বিখ্যাত মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর মিষ্টি পানিতে মা মাছ ডিম দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
কোন সময় বিপদ সঙ্কেত থাকলে এই নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার নজির নেই। তবে এই মৌসুমে নদীতে মা মাছ এক দফাও ডিম দেয় নি। বর্তমানে মা মাছের পেটে ডিম ভর্তি থাকায় ও ডিম দেওয়ার ভরা মৌসুম। তাই ডিম দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে হালদার তীরবর্তী কয়েকজন ডিম সংগ্রহকারী জানিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় ফণির পর যদি বৃষ্টি মেঘের গর্জন ও পাহাড়ি ঢল থাকে তাহলে আজ বা কাল এ সুযোগে ডিম দিতে পারে মা মাছে। তীব্র গরমের কারণে ও বৃষ্টি না থাকায় পাহাড়ি ঢলসহ মেঘের গর্জন না থাকায় মা মাছেরা ডিম দেওয়ার ভরা মৌসুমে মা মাছ ডিম দিচ্ছে না।
ডিম দেওয়ার মৌসুমে ডিম দেওয়ার পরিবর্তে শুধু মা মাছ মারা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত নদীর বিভিন্ন স্থানে আনুমানিক ৬/৭ টির মত বিভিন্ন প্রজারিত মা মাছ মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। তবে ঘূর্ণিঝড় কেটে গেলে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে পাহাড়ি ঢল হালদা নদীতে প্রবেশ করলে মা মাছ ডিম ছেড়ে দিবে বলে জানিয়েছেন ডিম সংগ্রহকারী ও হালদা বিশেষজ্ঞরা।
প্রতি বছর ডিম দেওয়ার মৌসুমে আমাবশ্যা ও পূর্ণিমা তিথীতে বৃষ্টি হলে নদীতে মা মাছ ডিম ছেড়ে দেয়। এবার অমবশ্যা থাকলেও তবে ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ সঙ্কেত থাকায় মা মাছ ডিম না দিলেও হয়তো পরবর্তীতে বৃষ্টি হলে ডিম দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানা যায়।
ঘূর্ণিঝড় বন্ধ হওয়ার পর পর যদি বৃষ্টি হয় তাহলে মা মাছ ডিম দিতে পারে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ডিম সংগ্রহকারী মো. কামাল সওদাগর। এই দিকে গতকাল পর্যন্ত হালদা নদীতে মা মাছেরা বিচরণ করতে দেখা গেছে। এতে ডিম সংগ্রহকারীরা প্রস্তুত রয়েছে। বৃষ্টি আর মেঘের গর্জন থাকলেও ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ করার জন্য নৌকা ও জালসহ প্রয়োজনীয় সরমঞ্জাম নিয়ে নদীতে নেমে পড়বেন। এই আমাবশ্যা মৌসুমে একটি সুযোগ রয়েছে মা মাছেরা ডিম দেওয়ার।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন