শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ময়মনসিংহ সিটিতে উৎসবমুখর ভোট : ইভিএমের প্রশংসায় ভোটাররা

মো. শামসুল আলম খান | প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৯, ৭:৩৩ পিএম

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার (০৫ মে) সকাল ৮ টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। তবে সকালের শুরুতেই নগরীর ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেলেও বেলা গড়াতেই ভোটার উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় শুধুমাত্র সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর পদেই ভোটগ্রহণ হয়।
১২৭টি কেন্দ্রের ৮৩০ টি ভোটকক্ষে ভোট হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এতে মোট ভোটার ২ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫৫ এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৯জন।
নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১২ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৫ জন করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিকেন্দ্রে ৩ জন করে মোট ৩৮১ জন ও মোবাইল টিমে ২৩১ এবং স্ট্রাইকিং ফোর্সে ১৩২ জন পুলিশ মোতায়েন ছিলেন।
প্রতি সাধারণ কেন্দ্রে ১০ জন করে ৩২ কেন্দ্রে ৩২০ জন আনসার সদস্য, স্ট্রাইকিং ফোর্স/মোবাইল টিমে ৩৩ জন ব্যাটালিয়ন আনসার, স্ট্রাইকিং ফোর্স/মোবাইল টিমে ১৮০ জন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং ৪২০ জন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন।
‘হাতে সিল মারার চেয়ে ইভিএম সহজ’
দীর্ঘ লাইনে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকার কষ্ট নেই। অবসান হয়েছে অসহনীয় অপেক্ষার যন্ত্রণারও। আবার নিজের নাগরিক অধিকার হিসেবে ভোটের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ারও সুযোগ নেই। এবারই প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিয়েছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) ভোটাররা।
পরিচ্ছন্ন পদ্ধতিতে ভোট দিয়ে উচ্ছ্বাস নিয়েই ভোটকেন্দ্র থেকে বের হয়েছেন ভোটাররা। কেউ কেউ আবার বাড়ি ফিরে গিয়ে অন্য ভোটারদেরও ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোটদানে উৎসাহ দিয়ে কেন্দ্রমুখী করিয়েছেন। ভোট নিয়ে কোন রকম ঝক্কি ঝামেলা না হওয়ায় রীতিমতো ইভিএম বন্দনায় মজেছিলেন সাধারণ ভোটাররা।
রোববার (০৫ মে) নগরীর রাঁধাসুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও মৃত্যুঞ্জয়ী স্কুলসহ বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা মিললো এমন চিত্রের।
নগরীর রাঁধাসুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে স্ত্রী আলপনা দে’কে (৩৫) সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে এসেছেন স্বামী গোবিন্দ দে (৫০)। ভোট দিয়ে বের হয়েই গালভরা হাসিতে গোবিন্দ দে বললেন, ‘হাতে সিল মারার চেয়ে ইভিএম অনেক সহজ। এই পদ্ধতিতে ভোট দিতে সময়ও কম লেগেছে।’
স্বামী গোবিন্দ’র মতোই স্বস্তির কথা জানালেন স্ত্রী আলপনাও। মধ্যবয়সী এই মহিলা ভোটার জানান, এতোদিন শুধুমাত্র ব্যালট পেপারেই ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা ছিলো। এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে। সব ভোটই এমন হওয়া উচিত।’
নগরীর মৃত্যুঞ্জয় স্কুলের ভোটকেন্দ্রে কথা হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা জোবায়ের আহমেদ (৫০) নামে এক ভোটারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ইভিএমে কারচুপির কোন সুযোগ নেই। এজন্যও সাত সকালেই ভোট দিতে চলে এসেছি। ফিঙ্গার প্রিন্টে তথ্য যাচাইয়ের পর ভোট দিতে সময় লাগেনি।’
স্থানীয় ২৮ নং রাঁধাসুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মোজাহিদুল হক জানান, ব্যালটে সিল দেওয়া, ক্রমিক নম্বর দেখে ঠিক করা এসবের চেয়ে ইভিএম বেশ সহজ একটি পদ্ধতি। এনআইডি বা ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে একবার সনাক্ত করে ভোট দিতে পারবে। এ ভোট কোথায় গেলো জানতে পারবে না, ফলাফল হওয়ার আগেও গণনা করতে পারবে না কে কতগুলো ভোট পেলো।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও পরীক্ষামূলকভাবে ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় ১০০ টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সেই উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ইভিএমে সাফল্যের হার বেশি। ইভিএম কাজ করছে না বা কোথাও সমস্যা হচ্ছে এমন অভিযোগ আসেনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
আব্দুল্লাহ ৭ মে, ২০১৯, ৮:১৮ এএম says : 0
ময়মনসিংহ পচিশ নং ওয়াডে একনং সরকারি প্রাথমিকবিদ্যালয়ে প্রবাশালি লোকেরা দুর্নিতি করেছে,সেখানে প্রতিটা কক্ষে ইভিএমে ভোট গ্রহন হয়েছে কিন্তু ভোট গণনার সময় বলা হয় একটি কক্ষের দুটি ইবিএম মেশিন এখন নষ্ট দেখাচ্ছে এতোবড় দুর্নিতি কেনো করাহলো জনগণের সাথে,এবং ভোট গ্রহনের নিয়ম বিকাল চারটা পর্যন্ত আর ঐ একনং প্রাতমিকবিদ্যালয়ে ভোট চলে সাড়ে পাচটা পর্যন্ত,এইবিষয়টা যুদি সম্ভব হয় তদন্ত করে দেকবেন এটা আমাদের অনুরোধ রইলো,কারণ সাংবাদিক হচ্ছে সাধারণ জনগনের বন্ধু এবং অধিকার আদায়ের একামাত্র ভরশা,ময়মনসিংহের 25নং ওয়াডের সাধারণ জনগণ না হলে এই পাচবৎসর নির্যাতনের স্বিকার হবে,
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন