শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

হালদায় মিলেছে মা মাছের ডিমের নমুনা

অপেক্ষা বৃষ্টি-বজ্রপাত-পাহাড়ি ঢলের

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

আমাবশ্যায় হালদা নদীর জোয়ারে ও ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে মিষ্টি পানির নদী এশিয়ার বিখ্যাত মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মা মাছের ডিমের নমুনা পাওয়া গেছে।
গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে এ নমুনা পাওয়া যায়। নদীতে মা মাছের ডিমের নমুনার খবর ডিম সংগ্রহকারীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে হালদা নদীর তীরবর্তী ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম ধরার নৌকাসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে হালদা নদীতে নেমে পড়েন। নদীতে জাল ফেলে কয়েকঘন্টা রাখার পর জাল তুলে এই ডিমের নমুনা দেখতে পায়। তবে মা মাছ পুরোদমে ডিম দেয়নি। ২/১ দিনের মধ্যে পরোদমে ডিম দিতে পারে বলে মনে করছে ডিম সংগ্রহকারীরা।
হাটহাজারী উপজেলার মাছোয়াঘোনা এলাকার ডিম সংগ্রহকারী মো. হারুন জানান, গতকাল রবিবার ১২ টার দিকে হালদা নদীতে জাল ফেলে ২শ’ গ্রামের মতো ডিম পেয়েছি। পুরোদমে ডিম না দেয়ার কারণে ডিম পাওয়া যায়নি। হালদা নদীতে মা মাছগুলো বৃষ্টি আর মেঘের গর্জন হলে এবং মা মাছের ডিম দেয়ার উপযুক্ত সময় না হওয়ার কারণে পর্যাপ্ত পরিমানে ডিম ছাড়েনি। শনিবার ঘূর্ণিঝড় ফণির ও আমাবশ্যার প্রভাবে এক পশলা বৃষ্টি হওয়ার কারণে হালদা নদীতে মা মাছগুলো ডিমরে নমুনা দেয়। যদি বেশীক্ষণ ধরে বৃষ্টি হলে মা মাছ পর্যাপ্ত পরিমান ডিম ছাড়ত। তবে ২/১ দিনের মধ্যে হয়তো অসময়ে মা মাছগুলো ডিম দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকাল রোববার হালদা নদীর নতুনহাট, আজিমের ঘাট, আমতোয়া, সিপাহীর ঘাটসহ বেশ কয়েকটি স্পটে ডিমরে নমুনা পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। প্রতিটি নৌকায় ২শ’ থেকে ৩শ’ গ্রাম পর্যন্ত মা মাছের ডিম পাওয়া যায়। তবে এই নমুনা তেমন সুবিধাজনক হবেনা বলে জানিয়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
এদিকে হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.আজহারুল আলম হালদা পাড়ে গিয়ে ডিম সংগ্রহকারীদের সাথে কথা বলেন এবং তিনি জানান, পর্যাপ্ত পরিমানে বৃষ্টি হলে মা মাছ এই তিথিতে অবশ্যই ডিম ছাড়বে। এখন শুধু হালদা নদীর মা মাছগুলো অপেক্ষায় রয়েছে বৃষ্টির জন্য।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন