ইরানকে ‘পরিস্কার ও নির্ভুল বার্তা’ দিতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে একটি যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন বলেছেন, কয়েকটি উদ্বেগজনক এবং বর্ধনশীল লক্ষণ ও সতর্কবার্তা প্রতিক্রিয়ায় তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। বল্টন আরও বলেছেন, তারা যেকোনো হামলা ‘কঠোর ভাবে’ মোকাবেলা করবেন।
নাম উল্লেখ না করে একজন মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন সৈন্যদের ওপর সম্ভাব্য হামলার খবরের ভিত্তিতে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে।
রোববার এক বিবৃতিতে বল্টন জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কন যুদ্ধজাহাজ এবং একটি বোমারু টাস্ক ফোর্স মোতায়েন করেছে ইরানকে এই বার্তা দিতে যে যুক্তরাষ্ট্রের বা এর মিত্রদের কোনও স্বার্থে আঘাত এলে তা নির্মমভাবে প্রতিহত করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না। কিন্তু আমরা ছায়াযুদ্ধের, ইসলামি রেভলুশনারি গার্ড কোরের বা ইরানের সাধারণ বাহিনীর যেকোনো হামলার জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
উল্লেখ্য, ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কন নিমিৎজ ক্লাস যুদ্ধ জাহাজ। পঞ্চম নৌ-বহরের অর্ন্তগত এই জাহাজ ৯০ টি বিমান ও হেলিকপ্টার পরিবহন করতে পারে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধের মহড়া দিতে এপ্রিলের শেষ থেকেই যুদ্ধজাহাজটি ইউরোপে অবস্থান করছিল। ইরানের যে কথিত কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিনীরা এই সতর্কবার্তা পাঠাচ্ছে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর একতরফাভাবে ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি বাতিল করার পর থেকে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের পরাশক্তিগুলো ওই চুক্তি স্বাক্ষর করে।
অন্যান্য দেশগুলো এই চুক্তি এখনও কার্যকর রাখতে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছে। ইরানের কাছ থেকে কোনও দেশ তেল কিনলে তাদের ওপরও অবরোধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন