আগামীকাল মঙ্গলবার দেশের প্রকৌশলীদের একমাত্র জাতীয় পেশাজীবি প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
দিবসটিকে আইইবি ‘‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে” হিসেবে প্রতি বছর পালন করে আসছে। সারাদেশের প্রকৌশলীবৃন্দ আগামীকাল উৎসবমুখর পরিবেশে ‘‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’’ উদযাপন করবেন।
‘উন্নত জগত গঠন করুন’ এ সুমহান আদর্শকে সামনে রেখে জাতীয় উন্নয়ন তথা দেশ গড়ার দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে ১৯৪৮ সালের ৭ মে ইনস্টিটিউশন যাত্রা শুরু করে। আইইবি এই দেশের প্রকৌশলীদের একমাত্র জাতীয় পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান। আইইবি বাংলাদেশের প্রকৌশলীদের প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠানও বটে।
১৯৪৮-এ পাকিস্তান সৃষ্টির পর আইইবি-ই একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান, যার সদর দফতর বাংলাদেশে অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত হয় ২৬ শে ডিসেম্বর ১৯৭১ (বিজয়ের মাত্র ১০দিনের মধ্যে), সেই সভাতেই ‘ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স পাকিস্তান’ নাম পরিবর্তিত হয়ে ‘ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ নাম করণ করা হয়। আইইবি প্রকৌশলীদের গর্ব এবং অহংকার।
এদিকে আইইবি’র ৭১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আইইবি সদর দফতরসহ দেশের বিভিন্ন কেন্দ্র উপকেন্দ্র গুলোতে সাজ সাজ উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সাজানো হয়েছে বিভিন্ন ভাবে।
৭ মে মঙ্গলবার আইইবি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন সকাল ৮ টায় আইইবি সদর দফতর এবং ঢাকা কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে আইইবি সদর দফতর, রমনা, ঢাকা প্রাঙ্গণে জাতীয় ও আইইবি’র পতাকা উত্তোলন, শপথ গ্রহণ, র্যালী অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও আইইবি’র বিভিন্ন প্রকৌশল বিভাগ, কেন্দ্র/উপকেন্দ্র এবং ওভারসীস চ্যাপ্টারসমূহে মাসব্যাপী ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’-এর কর্মসূচী পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে।
আইইবি’র ৭১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বানী দিয়েছেন। বানীতে তারা আইইবি’র সকল প্রকৌশলীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং ৭১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সফলতা কামনা করেছেন।
এ উপলক্ষে আইইবি’র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর এবং সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ বলেন, প্রকৌশল শিক্ষার মানোন্নয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন, বিশ্বের নিত্য নতুন, আধুনিক প্রযুক্তির সাথে প্রকৌশলীদের পরিচয় করে দেয়া, বিদেশী প্রযুক্তিকে দেশোপযোগী করে প্রয়োগ, বিভিন্ন কারিগরি ইস্যু, উন্নয়ন কর্মকান্ডে সরকারকে পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত প্রণয়নে সহযোগিতা করা এবং প্রকৌশলীদের মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশ সাধনে ইনস্টিটিউশন ৭১ বছর থেকে অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে আইইবি সব সময় বদ্ধ পরিকর। এসময় তারা বর্তমান সরকারের সাথে প্রকৌশলীদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেও কথাও উল্লেখ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন