শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

ট্রমাজনিত প্রাণহানি রোধে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

সড়ক দুর্ঘটনা ও দুর্যোগে বাড়ছে প্রাণহানি

প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনা এবং দুর্যোগ-দুর্বিপাকের কারণে ট্রমার ঘটনা ঘটছে। এ থেকে প্রাণহানিও দিন দিন বাড়ছে। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পাওয়ায় অনেককে পঙ্গুত্ব বরণ বা অঙ্গহানির ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা সারাদেশে ট্রমা এবং ট্রমাজনিত কারণে প্রাণহানি প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থ্্্াগুলো এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর গুলশানস্থ লেকশোর হোটেলে ‘ট্রমা ইভালুয়েশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে তারা এ কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশন পরিচালিত ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্স ও কানাডার বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন টিম ব্রোকেন আর্থ-এর যৌথ উদ্যোগে এবং রেনেটা লিমিটেডের সহযোগিতায় দু’দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বিনোয়েত পিয়েরে ল্যারামি ট্রমা ব্যবস্থাপনা এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের উপর দক্ষতা উন্নয়নের উপর গুরত্বারোপ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের টেকসই ও অব্যাহত উন্নয়ন কর্মকা-ে কানাডা সরকারের অবদানের কথাও তুলে ধরেন। তিনি তার বক্তব্যে ট্রমা রোগীদের জীবনমান উন্নয়নকে মৌলিক মানবিক অধিকার হিসেবে উল্লেখ করেন। ট্রমাজনিত রোগীদের সহযোগিতায় সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। বাংলাদেশে শিশু মাতৃ-মৃত্যু হার কমার কথা তুলে ধরে কানাডিয়ান হাইকমিশনার বলেন, এখন অসংক্রমক রোগের রোগী বাড়ছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করাই বড় চ্যালেঞ্জ। উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্য খাত গুরুত্ব দিতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে। বাংলাদেশ আর্থোপেডিক সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর ডা. আমজাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনা এবং দুযোর্গ-দুর্বিপাকের কারণে ট্রমা এবং এ থেকে প্রাণহানি ঘটে থাকে। তিনি  সারাদেশে ট্রমা এবং ট্রমাজনিত কারণে প্রাণহানি প্রতিরোধে সরকার, সাজেদা ফাউন্ডেশন এবং টিম ব্রোকেন আর্থ-এর মতো বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থ্্্াগুলো এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এ ধরনের প্রশংসনীয় উদ্যোগে বাংলাদেশ আর্থোপেডিক সোসাইটি সর্বদা সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে। বাংলাদেশের ট্রমাজনিত বিপুলসংখ্যক রোগীদের দুর্দশা লাগবে সমগ্র চিকিৎসক সমাজকে একত্রে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন ব্রোকেন আর্থের টিম লিডার ডা. এনড্রু  ফিউরে এমডি। সাজেদা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাহেদা ফিজ্জা কবীর এই কর্মশালাকে সাফল্যম-িত করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কানাডার মেমোরিয়াল ইউনিভার্সিটি অব নিউফাউন্ডল্যান্ড-এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. এইন্সলে ডেকার-এমডি, ডা. ড্যারেল বুন-এমডি, ডা. এলিসন ফিউরে-এমডি, ডা. ফ্রাঙ্ক ওডেসা-এমডি, ডা. মাইক হোজান-এমডি, ডা. আর্থার রিডেয়াউট-এমডি, ডা. জেরেমি প্রিডহাম-এমডি, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরি’র ডা. ইয়ান উইশার্ট-এমডি, বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন