স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র মাহে রমজানে রাজধানীর বাজারের গোশতের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশী গরুর গোশত ৪২০ টাকা, বোল্ডার ও মহিষের দাম ৪০০ টাকা, খাসির দাম ৫৭০ টাকা ও ছাগী, ভেড়ার গোশত ৪৭০ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এই মূল্য প্রথম রমজান থেকে আগামী এক বছর কার্যকর থাকবে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে নগর ভবনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে পবিত্র রমজানে গোশতের মূল্য স্থিতিশীল রাখাসহ কেমিক্যালবিহীন ফল, বিশুদ্ধ খাবার বিক্রি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবশ বজায় রাখার জন্য গোশত ব্যবসায়ী, হোটেল-রেস্তোরাঁ, ফল ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন পবিত্র রমজান মাসে স্বল্প লাভে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের খেদমতে সঠিক ওজনে দোকানে মূল্য তালিকা টাঙিয়ে গোশতসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রয়ের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মেয়র ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিল্লাল, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা: সাইদুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ গোশত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা, মহাসচিব মোহাম্মদ রবিউল আলম এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন গোশত ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন দৈনিক ইনকিলাবের সায়ীদ আবদুল মালিক, দৈনিক যুগান্তরের মতিন আবদুল্লাহ, ও দৈনিক কালের কণ্ঠের তোফাজ্জল হোসেন রুবেল প্রমুখ।
খান মোহাম্মদ বিল্লাল বলেন, গোশতের দোকানে দর লিখে টানিয়ে রাখবেন, ডিজিটাল পাল্লায় সঠিক ওজন দেবেন। মহিষ, বিদেশী গরু, দেশী গরু, খাসি, ছাগী ও ভেড়ার গোশত চিহ্নিত করে দর নির্ধারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাজারে মহিষের গোশত খুঁজে পাওয়া যায় না। সব বিদেশী গরু দেশী হয়ে যায়, সব ছাগী-ভেড়া খাসি হয়ে যায়। এমনটি আর দেখতে চাই না।
বাংলাদেশ গোশত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা বলেন, আমরা মুসলমান কথা দিচ্ছি খারাপ গোশত বিক্রি করব না এবং ওজনেও কম দেবো না।
মহাসচিব মোহাম্মদ রবিউল আলম বলেন, নগরীতে প্রয়োজনীয় আধুনিক জবাইখানা নেই। যে কয়টি জবাইখানা রয়েছে এগুলোতে সর্বোচ্চ হাজারখানেক পশু জবাই করা সম্ভব। তাই নগরীতে আরো মানসম্পন্ন জবাইখানা তৈরি করলে সিটি কর্পোরেশনে কমপক্ষে ৩ কোটি টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় বাড়বে বলে তিনি আশা কারেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন