কক্সবাজারে কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছেনা গোশত-মাছের বাজারে নৈরাজ্য। মাছ-গোশতের দোকানে গলাকাটা মূল্যে অতিষ্ঠ ক্রেতারা। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসেও ভোক্তাদের ঠকানোর মানসিকতা পরিবর্তন হয়নি কিছু ব্যবসায়ীদের। কক্সবাজার শহরে গোশত-মাছ যেন এখন ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
এই নৈরাজ্য রোধ করতে অব্যাহত রয়েছে কক্সবাজার জেল প্রশাসন ও কক্সবাজার পৌরসভা নিয়মিত অভিযান ও মনিটরিং। রমজান মাস শুরুর আগে থেকে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট গোশত মাছের দোকানে অভিযান চালিয়ে অনিয়মের জন্য জরিমানা করে আসছে।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসন রমজানের আগেই অভিযান চালিয়ে ২০/৩০ টি গোশতের দোকানে জরিমানা করে সবাইকে সতর্ক করে। কিন্তু দেখা গেছে রমজানে ঠিকই চড়ামূল্যে গোশত বিক্রি করছে, ওজনে কম দিয়ে ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করছে।
জানা গেছে, রামু, চকরিয়া, উখিয়া, টেকনাফ ও মহেশখালীতে কসাইদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ভোক্তারা। উপজেলাগুলোতে রমজানের আগে অভিযান পরিচানা করা হলেও রমজানে তারা আবারো ফিরে আসে তাদের পুরোনো মানসিকতায়। অনিয়ন্ত্রিত দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কক্সবাজার শহরের গোশত বিক্রেতাদের সাথে মতবিনিময় করেছেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান। ওই সভায় মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, স¤প্রতি গরু-মহিষের দাম বৃদ্ধিসহ নানা অজুহাতে কসাইরা অতিরিক্ত মূল্যে গোশত বিক্রি করছে এমন অভিযোগ অহরহ। পৌরসভার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে এক টাকাও যদি বেশি নেয়া হয় তাহলে সাথে সাথে কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে কেউ যদি গোশতের ওজনে কম বা অতিরিক্ত দাম নেয় সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তাদের হুঁশিয়ার করেন মেয়র।
সভায় হাঁড়সহ গরু-মহিষের গোশত প্রতিকেজি-৫৫০টাকা, ছাগী ৬৫০ টাকা ও খাসীর গোশত ৭০০টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, পৌরসভার নির্ধারিত মূল্যে গোশত বিক্রি হচ্ছে কিনা তা পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নজরদারীতে রাখবেন বলেও জানান তিনি।
এসময় কক্সবাজার পৌরসভার সচিব রাসেল চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল আলম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম, বড়বাজার গোশত ব্যবসায়ী সমিতির সমিতির সভাপতি নুরুল আলম সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক মো.শফিকুল ইসলাম ও ইজারাদার রুহুল কাদেরসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কে শুনে কার কথা?
এই নৈরাজ্য ঠেকাতে কক্সবাজার শহরে যৌথভাবে মাঠে নমেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও কক্সবাজার পৌর মেয়ের মুজিবুর রহমান। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও কক্সবাজার পৌর মেয়ের মুজিবুর রহমান জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে সরেজমিনে বাজার মনিটরিং এ বের হন। এছাড়া ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অতিরিক্ত মূল্য না নিতে এবং খাদ্যে ভেজাল না করতে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন