চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে যুবতিকে (১৯) অন্ত:সত্ত¡ার দায়ে ইউপি সদস্যসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলো, উপজেলার গর্ন্ধব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম (৬০), একই ওয়ার্ডের ডাটরা-শিবপুর গ্রামের গাজী বাড়ী ওরফে চকিদার বাড়ির রফিকুল ইসলামের ছেলে এমরান হোসেন (১৯) ও একই বাড়ির সিরাজুল ইসলামের ছেলে আরেফিন ওরফে আমিনুল (২০)।
ঘটনাটি হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দক্ষিণ গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ডাটরা শিবপুর গ্রামের গাজী বাড়ী ওরফে চকিদার বাড়িতে। মামলার অপর আসামি ওই বাড়ির ইসমাঈলের ছেলে রাব্বি (১৮), বিল্লাল হোসেনের ছেলে মেরাজ (২০) ও মৃত ছেরাজল হকের ছেলে সালিশদার মোস্তফা কামাল বিকম (৬৫) পলাতক রয়েছেন। এর আগে অন্ত:সত্ত¡া যুবতি বাদি হয়ে গত শুক্রবার হাজীগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
অভিযোগে জানা গেছে, চার যুবকের ধর্ষণে ৮ মাসের অন্ত:সত্ত¡া হয়ে পড়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবতি। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম ও সালিশদার মোস্তফা কামাল বিকম ঘটনা ধামাচাপা দিতে চার ধর্ষকের মধ্যে যুবতির পছন্দ অনুযায়ী এক ধর্ষকের সাথে বিয়ে ঠিক করেন। এর আগে চার ধর্ষকের কাছ থেকে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করে যুবতির ব্যাংক একাউন্টে রাখেন ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম ও সালিশদার মোস্তফা কামাল বিকম। ১১ মে শনিবার যুবতির পছন্দের পাত্র ধর্ষক রাব্বির সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।
ঘটনাটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর পুলিশ নড়েচড়ে ওঠে। শুক্রবার রাতে যুবতি বাদি হয়ে চার ধর্ষক ও ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম, সালিশদার মোস্তফা কামাল বিকমসহ ৬ জনকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। এ দিন রাতেই ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম, ধর্ষক এমরান হোসেন ও আরেফিন আমিনুলকে আটক করে পুলিশ। থানা হেফাজতে থাকা ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম জানান, ধর্ষিতা যুবতিকে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু সে এবং তার পরিবারের লোকজন রাজি হয়নি। তাই এলাকার সালিশদারদের সাথে নিয়ে উভয় পক্ষের (ধর্ষিতা, ধর্ষক এবং তাদের পরিবার) সাথে বসে এবং মেয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি রাব্বির সাথে বিয়ে ঠিক করি। থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি জানান, মামলার ৬ আসামির মধ্যে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন