শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কোনো কোম্পানি এগিয়ে এলে গিলে খায় ফেসবুক

নিউ ইয়র্ক টাইমস | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

প্রাধান্য লাভের আগে ফেসবুক তার মনোপলি অবস্থানকে প্রতিযোগী কোম্পানিগুলোকে বন্ধ করতে ব্যবহার করেছে অথবা তাদের প্রযুক্তি নকল করেছে। দি নিউজ ফিড অ্যালগরিদম ইউটিউব ও ভাইমিওর মত প্রতিযোগীদের ভিডিওর ওপর ফেসবুকের মাধ্যমে সৃষ্ট ভিডিওগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছিল।
২০১২ সালে টুইটার ভাইন নামে একটি ভিডিও নেটওয়ার্ক চালু করে যেগুলো ছিল ৬ সেকেন্ডের ভিডিও। সেই একই দিনে ফেসবুক ভাইনের একটি যন্ত্র চালু করা বন্ধ করে দেয় যা তার ব্যবহারকারীদের নতুন নেটওয়ার্কে থাকা কালে তাদের ফেসবুক বন্ধুদের খোঁজার সুবিধা দিত। এ সিদ্ধান্ত ভাইনের ক্ষতি করে। চার বছর পর ভাইন বন্ধ হয়ে যায়।
স্ন্যাপচ্যাট এক ভিন্ন ধরনের হুমকি সৃষ্টি করেছিল। স্ন্যাপচ্যাটের গল্প ও অস্থায়ী মেসেজিং সুবিধার কারণে তা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের আকর্ষণীয় বিকল্প হয়ে ওঠে। ভাইনের মত স্ন্যাপচ্যাট ফেসবুকের প্রতিবেশ ব্যবস্থার মুখোমুখি হয়নি, তাই এ কোম্পানিটিকে পঙ্গু করা বা এক বন্ধ করে দেয়ার পথ ছিল না। তাই ফেসবুক স্রেফ তাকে নকল করেছিল।
স্ন্যাপচ্যাটের গল্পগুলো ও অদৃশ্য বার্তাগুলোর ফেসবুক সংস্করণ ভীষণ সফল বলে প্রমাণিত হয়। ২০১৬ সালে সকল কর্মীর এক সভায় মার্ক ফেসবুক কর্মচারীদের বলেন যে ব্যবহারকারীদের চাহিদা মত সব কিছু প্রদান করে তারা যে গৌরব অর্জন করেছে তা ধরে রাখতে হবে। ওয়্যারড সাময়িকীর মতে, জাকারবার্গের বার্তা ফেসবুকে অনানুষ্ঠানিক সেøাগানে পরিণত হয়- নকল করে বেশি গৌরব করো না।
এ সবের ফল হয় এই যে সম্ভাব্য প্রতিযোগীরা ফেসবুককে মোকাবেলা করার অর্থ সংগ্রহ করতে পারেনি। বিনিয়োগকারীরা বুঝতে পারেন যে কোনো কোম্পানি যদি এগিয়ে যায় ফেসবুক তাদের উদ্ভাবনগুলো নকল করবে বা বন্ধ করে দেবে। অথবা তুলনামূলক ভাবে কম অর্থে তা কিনে নেবে। তাই বর্ধিত অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ সত্তে¡ও উচ্চ প্রযুক্তিতে আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের এবং ফেসবুকের প্রতি লোকজনের বিতৃষ্ণার বিস্ফোরণ ঘটে। ২০১১ সালের শরৎ কালের পর আর কোনো বড় ধরনের সামাজিক নেটওয়ার্কিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
বাজারগুলো অধিক ঘনীভ‚ত হওয়ার বিপরীতে নতুন শুরু করা ব্যবসাগুলোর সংখ্যা কমতে থাকে। সার্চ (গুগল নিয়ন্ত্রিত) ও ই-কমার্সের (আমাজন কর্তৃক অধিগৃহীত) মত একক কোম্পানির প্রাধান্য বিস্তৃত উচ্চ-প্রযুক্তি এলাকার ক্ষেত্রে এটা সত্য দেখা যায়। এদিকে যেখানে মনোপলিগত প্রাধান্য নেই সে সব ক্ষেত্রে প্রচুর উদ্ভাবন ঘটে, যেমন কর্মক্ষেত্র উৎপাদনশীলতা (সø্যাক, ট্রেলো, আসানা), নগর পরিবহন (লাইফ্ট, উবার, লাইম, বার্ড) এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ (রিপল, কয়েনবেস, সার্কল)।
আধিপত্য অন্বেষার জন্য আমি মার্ককে দোষ দেই না। প্রতিভাবান উদ্যোক্তারা সম্পদ লাভের জন্য যে রকম ধাক্কাধাক্কি করে সে তাদের চেয়ে বেশি নীচতা প্রদর্শন করেনি। সে এক দানব সৃষ্টি করেছে যা উদ্যোক্তাদের ভিড় হ্রাস করেছে এবং ভোক্তাদের পছন্দ সীমিত করেছে। আমরা যাতে অদৃশ্য হাতের জাদু কখনো না হারাই তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা কিভাবে তা ঘটার অনুমোদন দিতে পারি?
১৯৭০- এর দশক থেকে আদালতগুলো যতক্ষণ না ভোক্তারা স্ফীত মূল্য না দিচ্ছে যা কিনা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কম হবে, ততক্ষণ কোম্পানিগুলো ভাঙ্গতে বা একীভ‚ত হওয়া রোধ করতে ক্রমেই দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
ফেসবুক হচ্ছে সঠিক বিষয় যার উপর ভিত্তি করে সুনির্দিষ্ট ভাবে গতি পাল্টে দেয়া যায়। কারণ, ফেসবুক তার টাকা আয় করে লক্ষ্যবস্তু বিজ্ঞাপন থেকে, যার অর্থ ব্যবহারকারীরা এ সেবা ব্যবহারের জন্য অর্থ দেয় না। কিন্তু আসলে তা বিনামূল্য নয়, এবং অবশ্যই তা ক্ষতিহীন নয়।
ফেসবুকের বাণিজ্য মডেল তৈরি হয়েছে যতটা বেশি সম্ভব আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ, আর তার উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা কে এবং কি হতে চায় সে ব্যাপারে অধিক তথ্য সৃষ্টি ও শেয়ার করতে মানুষজনকে উৎসাহিত করা। আমরা আমাদের ডাটা ও আমাদের মনোযোগ দিয়ে ফেসবুককে অর্থ দেই, এবং কোনো ব্যবস্থাই সস্তা হয় না।
আমি ছিলাম মূল নিউজ ফিড টিমে (প্যাটেন্টে আমার নাম আছে) এবং এ পণ্য এখন শত শত কোটি ঘন্টার মনোযোগ পাচ্ছে এবং প্রতি বছর অপরিজ্ঞাত পরিমাণ ডাটা টানছে। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা প্ল্যাটফর্মটিতে দিনে গড়ে এক ঘণ্টা ব্যয় করে। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা ছবি ও ভিডিও স্ক্রলের মাধ্যমে দৈনিক ব্যয় করে গড়ে ৫৭ মিনিট। তারা অপরিমেয় পরিমাণ ডাটা সৃষ্টি করে, শুধু লাইকস বা ডিজলাইকস দিয়ে নয়- তারা একটি নির্দিষ্ট ভিডিও কত সেকেন্ড দেখে যা ফেসবুক তাদের লক্ষ্যবস্তু বিজ্ঞাপন নির্ধারণে ব্যবহার করে। ফেসবুক সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো ও অ্যাপস থেকে ডাটা সংগ্রহ করে, অধিকাংশ ব্যবহারকারী তা জানতেও পারে না।
কিছুদিন আগে, আমি ডায়নোসর নিয়ে খেলা করতে থাকা আমার এক বছরের ছেলের পাশে মেঝেতে শুয়ে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে স্ক্রল করছিলাম। আর অপেক্ষা করছিলাম যে পরের ছবিটি যদি শেষেরটির চেয়ে ভালো হয়। হঠাৎই মনে হল, আমি কি করছি? আমি জানি আমার বা আমার ছেলের জন্য এটা ভালো নয়, তা সত্তে¡ও আমি তা করেছি।
পছন্দটা আমার, কিন্তু তা পছন্দের মত মনে হয় না। ফেসবুক আমাদের মনোযোগ ও ডাটা দখল করতে যতটা সম্ভব জীবনের প্রতিটি কোণে প্রবেশ করছে এবং কোনো বিকল্প ছাড়াই আমরা এ বাণিজ্য করছি।
যে স্পন্দনশীল বাজার একদা ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে ভালো পণ্য নিয়ে প্রতিযোগিতা করার জন্য চালিত করেছিল তা আজ বিলুপ্ত। তার অর্থ এই যে নতুনদের পক্ষে সুস্থ, কম শোষণমূলক সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার সুযোগ কম। এর অর্থও দাঁড়ায় প্রাইভেসির মত বিষয়গুলোতে কম জবাবদিহিতা।
মাত্র গত মাসেই ফেসবুক বোধ হয় খবর চাপা দেয়ার চেষ্টা করে যে তারা প্লেইন টেক্সট ফরম্যাটে কোটি কোটি ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড মজুদ করেছে যা হাজার হাজার ফেসবুক কর্মচারী দেখতে পারে। শুধু প্রতিযোগিতা প্রাইভেসি সুরক্ষাকে অবশ্যই উদ্দীপ্ত করবে না। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য আইন প্রণয়ন দরকার। কিন্তু বাজার নিশ্চয়তার ব্যাপারে ফেসবুক তালা দিয়ে রেখেছে যাতে ব্যবহারকারীরা বিল্প প্ল্যাটফর্মগুলোতে গিয়ে প্রতিবাদ করতে না পারে।
ফেসবুকের শক্তির সবচেয়ে অসুধিাজনক দিক হচ্ছে কথাবার্তার ওপর মার্কের একতরফা নিয়ন্ত্রণ। মনিটর করা, সংগঠিত করা এমনকি ২০০ কোটি মানুষের কথাবার্তা সেন্সর করার তার সক্ষমতার কোনো পূর্ব নজির নেই। (অসমাপ্ত)

নিউ ইয়র্ক টাইমস
প্রাধান্য লাভের আগে ফেসবুক তার মনোপলি অবস্থানকে প্রতিযোগী কোম্পানিগুলোকে বন্ধ করতে ব্যবহার করেছে অথবা তাদের প্রযুক্তি নকল করেছে। দি নিউজ ফিড অ্যালগরিদম ইউটিউব ও ভাইমিওর মত প্রতিযোগীদের ভিডিওর ওপর ফেসবুকের মাধ্যমে সৃষ্ট ভিডিওগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছিল।
২০১২ সালে টুইটার ভাইন নামে একটি ভিডিও নেটওয়ার্ক চালু করে যেগুলো ছিল ৬ সেকেন্ডের ভিডিও। সেই একই দিনে ফেসবুক ভাইনের একটি যন্ত্র চালু করা বন্ধ করে দেয় যা তার ব্যবহারকারীদের নতুন নেটওয়ার্কে থাকা কালে তাদের ফেসবুক বন্ধুদের খোঁজার সুবিধা দিত। এ সিদ্ধান্ত ভাইনের ক্ষতি করে। চার বছর পর ভাইন বন্ধ হয়ে যায়।
স্ন্যাপচ্যাট এক ভিন্ন ধরনের হুমকি সৃষ্টি করেছিল। স্ন্যাপচ্যাটের গল্প ও অস্থায়ী মেসেজিং সুবিধার কারণে তা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের আকর্ষণীয় বিকল্প হয়ে ওঠে। ভাইনের মত স্ন্যাপচ্যাট ফেসবুকের প্রতিবেশ ব্যবস্থার মুখোমুখি হয়নি, তাই এ কোম্পানিটিকে পঙ্গু করা বা এক বন্ধ করে দেয়ার পথ ছিল না। তাই ফেসবুক স্রেফ তাকে নকল করেছিল।
স্ন্যাপচ্যাটের গল্পগুলো ও অদৃশ্য বার্তাগুলোর ফেসবুক সংস্করণ ভীষণ সফল বলে প্রমাণিত হয়। ২০১৬ সালে সকল কর্মীর এক সভায় মার্ক ফেসবুক কর্মচারীদের বলেন যে ব্যবহারকারীদের চাহিদা মত সব কিছু প্রদান করে তারা যে গৌরব অর্জন করেছে তা ধরে রাখতে হবে। ওয়্যারড সাময়িকীর মতে, জাকারবার্গের বার্তা ফেসবুকে অনানুষ্ঠানিক স্লোগানে পরিণত হয়- নকল করে বেশি গৌরব করো না।
এ সবের ফল হয় এই যে সম্ভাব্য প্রতিযোগীরা ফেসবুককে মোকাবেলা করার অর্থ সংগ্রহ করতে পারেনি। বিনিয়োগকারীরা বুঝতে পারেন যে কোনো কোম্পানি যদি এগিয়ে যায় ফেসবুক তাদের উদ্ভাবনগুলো নকল করবে বা বন্ধ করে দেবে। অথবা তুলনামূলক ভাবে কম অর্থে তা কিনে নেবে। তাই বর্ধিত অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ সত্তে¡ও উচ্চ প্রযুক্তিতে আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের এবং ফেসবুকের প্রতি লোকজনের বিতৃষ্ণার বিস্ফোরণ ঘটে। ২০১১ সালের শরৎ কালের পর আর কোনো বড় ধরনের সামাজিক নেটওয়ার্কিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
বাজারগুলো অধিক ঘনীভূত হওয়ার বিপরীতে নতুন শুরু করা ব্যবসাগুলোর সংখ্যা কমতে থাকে। সার্চ (গুগল নিয়ন্ত্রিত) ও ই-কমার্সের (আমাজন কর্তৃক অধিগৃহীত) মত একক কোম্পানির প্রাধান্য বিস্তৃত উচ্চ-প্রযুক্তি এলাকার ক্ষেত্রে এটা সত্য দেখা যায়। এদিকে যেখানে মনোপলিগত প্রাধান্য নেই সে সব ক্ষেত্রে প্রচুর উদ্ভাবন ঘটে, যেমন কর্মক্ষেত্র উৎপাদনশীলতা (সø্যাক, ট্রেলো, আসানা), নগর পরিবহন (লাইফ্ট, উবার, লাইম, বার্ড) এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ (রিপল, কয়েনবেস, সার্কল)।
আধিপত্য অন্বেষার জন্য আমি মার্ককে দোষ দেই না। প্রতিভাবান উদ্যোক্তারা সম্পদ লাভের জন্য যে রকম ধাক্কাধাক্কি করে সে তাদের চেয়ে বেশি নীচতা প্রদর্শন করেনি। সে এক দানব সৃষ্টি করেছে যা উদ্যোক্তাদের ভিড় হ্রাস করেছে এবং ভোক্তাদের পছন্দ সীমিত করেছে। আমরা যাতে অদৃশ্য হাতের জাদু কখনো না হারাই তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা কিভাবে তা ঘটার অনুমোদন দিতে পারি?
১৯৭০- এর দশক থেকে আদালতগুলো যতক্ষণ না ভোক্তারা স্ফীত মূল্য না দিচ্ছে যা কিনা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কম হবে, ততক্ষণ কোম্পানিগুলো ভাঙ্গতে বা একীভ‚ত হওয়া রোধ করতে ক্রমেই দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
ফেসবুক হচ্ছে সঠিক বিষয় যার উপর ভিত্তি করে সুনির্দিষ্ট ভাবে গতি পাল্টে দেয়া যায়। কারণ, ফেসবুক তার টাকা আয় করে লক্ষ্যবস্তু বিজ্ঞাপন থেকে, যার অর্থ ব্যবহারকারীরা এ সেবা ব্যবহারের জন্য অর্থ দেয় না। কিন্তু আসলে তা বিনামূল্য নয়, এবং অবশ্যই তা ক্ষতিহীন নয়।
ফেসবুকের বাণিজ্য মডেল তৈরি হয়েছে যতটা বেশি সম্ভব আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ, আর তার উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা কে এবং কি হতে চায় সে ব্যাপারে অধিক তথ্য সৃষ্টি ও শেয়ার করতে মানুষজনকে উৎসাহিত করা। আমরা আমাদের ডাটা ও আমাদের মনোযোগ দিয়ে ফেসবুককে অর্থ দেই, এবং কোনো ব্যবস্থাই সস্তা হয় না।
আমি ছিলাম মূল নিউজ ফিড টিমে (প্যাটেন্টে আমার নাম আছে) এবং এ পণ্য এখন শত শত কোটি ঘন্টার মনোযোগ পাচ্ছে এবং প্রতি বছর অপরিজ্ঞাত পরিমাণ ডাটা টানছে। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা প্ল্যাটফর্মটিতে দিনে গড়ে এক ঘণ্টা ব্যয় করে। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা ছবি ও ভিডিও স্ক্রলের মাধ্যমে দৈনিক ব্যয় করে গড়ে ৫৭ মিনিট। তারা অপরিমেয় পরিমাণ ডাটা সৃষ্টি করে, শুধু লাইকস বা ডিজলাইকস দিয়ে নয়- তারা একটি নির্দিষ্ট ভিডিও কত সেকেন্ড দেখে যা ফেসবুক তাদের লক্ষ্যবস্তু বিজ্ঞাপন নির্ধারণে ব্যবহার করে। ফেসবুক সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো ও অ্যাপস থেকে ডাটা সংগ্রহ করে, অধিকাংশ ব্যবহারকারী তা জানতেও পারে না।
কিছুদিন আগে, আমি ডায়নোসর নিয়ে খেলা করতে থাকা আমার এক বছরের ছেলের পাশে মেঝেতে শুয়ে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে স্ক্রল করছিলাম। আর অপেক্ষা করছিলাম যে পরের ছবিটি যদি শেষেরটির চেয়ে ভালো হয়। হঠাৎই মনে হল, আমি কি করছি? আমি জানি আমার বা আমার ছেলের জন্য এটা ভালো নয়, তা সত্তে¡ও আমি তা করেছি।
পছন্দটা আমার, কিন্তু তা পছন্দের মত মনে হয় না। ফেসবুক আমাদের মনোযোগ ও ডাটা দখল করতে যতটা সম্ভব জীবনের প্রতিটি কোণে প্রবেশ করছে এবং কোনো বিকল্প ছাড়াই আমরা এ বাণিজ্য করছি।
যে স্পন্দনশীল বাজার একদা ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে ভালো পণ্য নিয়ে প্রতিযোগিতা করার জন্য চালিত করেছিল তা আজ বিলুপ্ত। তার অর্থ এই যে নতুনদের পক্ষে সুস্থ, কম শোষণমূলক সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার সুযোগ কম। এর অর্থও দাঁড়ায় প্রাইভেসির মত বিষয়গুলোতে কম জবাবদিহিতা।
মাত্র গত মাসেই ফেসবুক বোধ হয় খবর চাপা দেয়ার চেষ্টা করে যে তারা প্লেইন টেক্সট ফরম্যাটে কোটি কোটি ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড মজুদ করেছে যা হাজার হাজার ফেসবুক কর্মচারী দেখতে পারে। শুধু প্রতিযোগিতা প্রাইভেসি সুরক্ষাকে অবশ্যই উদ্দীপ্ত করবে না। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য আইন প্রণয়ন দরকার। কিন্তু বাজার নিশ্চয়তার ব্যাপারে ফেসবুক তালা দিয়ে রেখেছে যাতে ব্যবহারকারীরা বিল্প প্ল্যাটফর্মগুলোতে গিয়ে প্রতিবাদ করতে না পারে।
ফেসবুকের শক্তির সবচেয়ে অসুধিাজনক দিক হচ্ছে কথাবার্তার ওপর মার্কের একতরফা নিয়ন্ত্রণ। মনিটর করা, সংগঠিত করা এমনকি ২০০ কোটি মানুষের কথাবার্তা সেন্সর করার তার সক্ষমতার কোনো পূর্ব নজির নেই। (অসমাপ্ত)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন