গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেন। তার লক্ষ্য বাংলাদেশের একজন মানুষও যেন স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষে হাইপারটেনশন কমিটি অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাগরিকের মৌলিক অধিকারের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করে থাকেন। এই মৌলিক অধিকারের অন্যতম হলো নাগরিকের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা। এটি সংবিধানেও বলা হয়েছে। এটা নিশ্চিত করার জন্য শেখ হাসিনা সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবা খাতে শুধু সরকার নয়, সকলের এগিয়ে আসা দরকার। ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক এর সৎ প্রচেষ্টার অনন্য-অসাধারণ প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষ সুদূরপ্রসারীভাবে উপকৃত হচ্ছে। সেজন্য সমাজে যারা বিত্তবান আছেন তারাও এগিয়ে আসুন। আর্থিক সম্পত্তি না থাকলেও যাদের হৃদয়ের সম্পদ অনেক বড় তাদেরকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন, প্রতিটি বিভাগে একটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। প্রতিটি জেলায় মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। এর লক্ষ্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে দক্ষ মানুষ তৈরি করা এবং নাগরিকের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা। কোনো সরকারই এতটা সংবেদনশীলতা ও আন্তরিকতার সাথে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি নজর দেয়নি।
তিনি বলেন, চিকিৎসাশাস্ত্রে অনেক মহামানব অনেক বড় বড় অবদান রেখে গেছেন। এরপরও কেউ কেউ এ শাস্ত্রকে কলঙ্কিত করছেন। তবে এর সংখ্যা অত্যস্ত কম। কিন্তু এরাই এই মহান পেশার সমৃদ্ধ, সম্মান ও শ্রদ্ধার জায়গাকে বিতর্কিত করে তোলে। আমরা একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতায় ছুটে চলেছি। তিনি বলেন, সমাজের দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, নৈরাজ্য এবং অনাকাঙিক্ষত অনৈতিকতা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই। অসুস্থ, অনৈতিকতা এবং অবক্ষয়ের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, নৈতিকতার মানদন্ডকে ফিরিয়ে আনার জন্য, অবক্ষয়ের বল্গাহীন স্রোতকে বাধা দেওয়ার জন্য আছেন, ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে যারা চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে যারা সম্পৃক্ত আছেন সকলে বড় একটা ভূমিকা পালন করতে পারেন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বার্দান জং রানা, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও আল- হোসাইনী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাইপারটেনশন কমিটি অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন