ইসলামী ঐকজোটের চেয়ারমান ও নেজামে ইসলাম পাটির সভাপতি মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ধানের উপযুক্ত মূল্য না পেয়ে পথে বসছে চাষীরা। ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে চাষীরা হতাশ হতবাক ও ক্ষুব্ধ। এতে স্থানীয় ধান উৎপাদনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। স্থানীয়ভাবে কৃষি খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। চাষীরা ধান চাষে নিরুৎসাহিত হবে । ব্যাংক ঋণগস্থ ধানচাষীরা ঋণ পরিশোধে অক্ষম হবে। ফলে পলট্রি ফার্মের ন্যায় ধান চাষ ও সঙ্কুচিত হবে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, আমদানী উদারিকরনের মাধ্যমে চাল ব্যবসায়ীদের কাছে অসহায়ত্বই প্রতিফলিত হয়েছে। মনে হয় সশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা চাল আমদানীকারকদের প্রতি অনেকটা দুর্বল । তিনি বলেন, দেশে চালের প্রকৃত চাহিদা, উৎপাদন ও আমদানির সঠিক পরিসংখ্যান সংরক্ষণের ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতা ও অদূরদর্শিতার কারণেই এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে। মার্কেট মনিটর করা ও চাল আমদানির ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষার ব্যবস্থা না থাকার ব্যর্থতার কারণে এই অপ্রত্যাশিত ও অনাকাংখিত বিপর্যয় ঘটে। তিনি বলেন, দেশে প্রয়োজনীয় ধান-চাল না পাওয়া পর্যন্ত অবশ্যই চাল আমদানি করতে হবে, তবে তাতে পরিমিতিবোধ থাকা চাই। আমদানির নামে যখন দেশের ধান চাষীরা শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মরতে বসে, তখন সেটা রোধ করতেই হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন