স্টাফ রিপোর্টার : যথাযথ বিধিবিধান মেনে স্থাপনা নির্মাণ করলে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে গতকাল বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের উদ্যোগে ভূমিকম্প শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভ‚মিকম্পের ঝুঁকি, প্রস্তুতি ও উত্তরণের উপায় : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক এক সেমিনারে সচেতনতা, মতবিনিময় ও কৌশল অবলম্বনমূলক এ সেমিনারের আয়োজন করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর।
ভূমিকম্প দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের নেয়া বিভিন্ন কর্মকাÐের কথা উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও দুর্যোগ মোকাবেলায় জনগণের সম্পৃক্ততা ও অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে নিয়মিত গণসংযোগ, মহড়া ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন ও ইউএস আর্মি-এর যৌথ উদ্যোগে ২০১২, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ডিজাস্টার রেসপন্সে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সফলভাবে অংশগ্রহণ করেছে। স¤প্রতি বন্ধুপ্রতিম দেশ চীন সরকার বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে ১০০টি টোয়িং ভেহিকেল, ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স, ১৫০টি ফায়ার ফাইটিং মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য উদ্ধার যন্ত্রপাতি সরবারহ করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্পে স্বেচ্ছাসেবকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে কমপেরেসিভ ডিজাস্টার ম্যানেজম্যান্ট প্রোগাম এ সহায়তায় সারাদেশে ৬২ হাজার আরবান ভলান্টিয়ার গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রায় ইতোমধ্যে ৩২ হাজারের বেশি ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। যারা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের সঙ্গে সহযোগী শক্তি হিসেবে কাজ করছে। বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় অধিদফতরের উন্নয়নের জন্য ২০০ কোটি টাকার উদ্ধার যন্ত্রপাতি কেনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি কর্মীদের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য দেশে-বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান বলেন, বাংলাদেশে ভূমিকম্প ঝুঁকি রয়েছে। স¤প্রতি কয়েক দফা মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংকের কারণে আহত-নিহতের ঘটনাও ঘটেছে। যেহেতু ভূমিকম্প প্রতিরোধ ও আগাম সতর্কতা সম্পর্কে জানার কোন উপায় নেই, তাই গণসচেতনতা ও পূর্ব কলাকৌশল নির্ধারণ সাপেক্ষে প্রস্তুতি গ্রহণই হতে পারে সর্বোত্তম পন্থা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যব্রত সাহা, জিপিএস ইস্পাত ও ক্রাউন সিমেন্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন