রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আবাসনে বালিশসহ কাজ পেয়েছেন যারা

তদন্ত কমিটি ঢাকায় ফিরে প্রতিবেদন দেবেন

পাবনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৯, ২:৫১ পিএম

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের গ্রিনসিটি আবাসনে বালিশ, আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি ক্রয়ে ঠিকাদারী কাজ কারা পেয়েছেন, সেটি ধোঁয়াশার আবর্তে ছিল। পাবনা গণপূর্ত বিভাগ ও প্রথম দিকে এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। শুধু বলেছেন, তুলার বালিশ নয়, ‘আর্টিফিশিয়াল ফাইবার’ বালিশ। যার প্রাক্কলিত মূল্য প্রায় ৬ হাজার টাকা, একটি বালিশ উত্তোলন খরচ ৭৬০ টাকা । অধিক মূল্যে টিভি ক্রয় ইত্যাদি। এ নিয়ে সারা দেশে এবং সোস্যাল মিডিয়া ঝড় উঠে , এই ঝড় এখনও চলছে। সাধারণ মানুষ জানতে পারেননি, এই কাজ কারা পেয়েছেন। এই তথ্য বেড়িয়ে এসেছে। সূত্র মতে, ঠিকাদারী কাজে বিএনপি, আওয়ামীলীগ নেই, সবাই সমান। আর সাথে পাবনার গণপূর্ত বিভাগের এক্সিমেটর, অন্যান্য কর্মকর্তা। জানা গেছে, পাবনার সুজানগরের বিএনপি নেতা এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী আব্দুল হালিম সাজ্জাতের ছোট ভাই শাহাদত হোসেনের প্রতিষ্ঠান ‘ সাজিন এন্টার প্রাইজ’(পাবনা) ৬টি প্যাকেজে ১৪৬ কোটি টাকার মধ্যে সাজিন এন্টার প্রাইজ পেয়েছেন ৩টি কাজ, অপর ৩টি গ্রুপের কাজ পেয়েছেন ‘ মজিদ এন্ড সন্স (ঢাকা), পদ্মা এন্টার প্রাইজ(ঢাকা)। এই কাজের মধ্যে বালিশ, টিভি, ফ্রিজ, আসবাপত্র সবই রয়েছে । শুধু টেন্ডার ড্রপ নয়, কাজ পেতে স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের সহযোগিতা লেগেছে। ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার পর নাকি ২% পিসি দিতে হয়েছে। ‘ ঠিকাদারী কাজের ক্ষেত্রে বিএনপি, আওয়ামীলীগ আর কাজ আহ্বানকারী প্রতিষ্ঠান নেই ,সবাই সমান। সূত্র মতে, এতো বড় কাজের অভিজ্ঞতা নাকি গণপূর্ত বিভাগের আগে ছিল না। অপর এক সূত্র জানান, ঢাকার আজিমপুরে আর্টিফিশিয়াল ফাইবারের বালিশ তৈরীর অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকার মধ্যে কভার সহ উন্নতমানের বালিশ পাওয়া যায়। এই বালিশের বিশেষত্ব হলো, মাথায় দিলে ডেবে যায়, আবার মাথা তুললে বালিশ আগের অবস্থানে ফিরে আসে । এ ছাড়া আহামরি কিছু নয়। আর্টিফিশিয়াল ফাইবার মাথায় দিলে তাপ বেশী লাগে, গরমের দিনে আরও বেশী। অভিজ্ঞ একজন বললেন, ‘ উনারা তো সব এ/সি রুমে থাকবেন, তাই তাপ বুঝতে পারবেন না।’ প্রসঙ্গত : টেন্ডারে লোয়েস্ট হওয়ার জন্য বা ফাস্ট হওয়ার জন্য ঠিকাদার যে মূল্যই দিক কাগজপত্রে, অস্বাভাবিক মনে হলে আহ্বানকারী প্রতিষ্ঠান সকল দরপত্র বাতিলের ক্ষমতা রাখেন, এ ক্ষেত্রে পাবনা গণপূর্ত বিভাগ সেটি করেননি। সূত্র আরও জানান, তদন্ত কমিটি পাবনায় এসেছেন, তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে তাঁরা ঢাকায় ফিরে প্রতিবেদন দেবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন