আধুনিক সভ্যতার বিকাশে তথ্য প্রযুক্তির অবদান অপরিসীম। বর্তমান সময়ে মানুষ এক মুহুর্তও তথ্য প্রযুক্তি ছাড়া চলতে পারে না। সাধারণত তথ্য রাখা বা ব্যবহার করাকেই তথ্য প্রযুক্তি বলা হয়। যা ইনফরমেশন টেকনোলজি বা আইটি নামে অভিহিত। তথ্য প্রযুক্তি মূলত একটি সমন্বয় প্রযুক্তি। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, একত্রিকরণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিনিময় বা পরিবেশনের ব্যবস্থাকে তথ্য প্রযুক্তি হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয়। তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ছাড়া বর্তমান সময়ে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পূর্ণ করা যায় না।
মোবাইল ফোন আমাদের অতি প্রয়োজনীয় একটি ডিভাইস। প্রয়োজনের তাগিদে আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করি। বলতে গেলে আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে গেছে মোবাইল ফোন। এটি তথ্য প্রযুক্তির একটি মাধ্যম। মুহুর্তের মধ্যেই এক প্রান্তের খবর অন্য প্রান্তে পৌঁছে দিতে মোবাইল প্রযুক্তি কাজ করে। এক কথায়-মোবাইলের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদানের প্রযুক্তিকেই মোবাইল প্রযুক্তি বলে। ২০১৮ সালের শেষের দিকে এক জরিপে জানা গেছে, বাংলাদেশে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১৫ কোটি ৭০ লাখ ছাড়িয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে বস্তু বা জিনিসটির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল, সেটা হল মোবাইল ফোন। সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার জন্য অ্যালার্ম দেয়া থেকে শুরু করে সারাটি দিন বিভিন্ন কাজে এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ করা, সময় দেখা, প্রয়োজনীয় ছবি তোলা থেকে শুরু করে পত্রিকাও পড়া যায় মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে। দিনের সব আপডেট তথ্য আমরা এর মাধ্যমেই পেয়ে থাকি।
মোবাইল প্রযুক্তির ব্যাপক প্রয়োজনীতার সাথে সাথে ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। আমরা এ দিকটি উপেক্ষা করেই চলছি। কিভাবে এই বস্তুটি আমাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে, সে সম্পর্কে অনেকের জ্ঞানই খুবই সীমিত। মোবাইল ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বললে, কানে হেডফোন লাগিয়ে দীর্ঘক্ষণ গান শুনলে মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়। তাছাড়া মস্তিস্কে বিরূপ প্রভাব ফেলে। এতে করে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়; অস্থিরতা, অমনোযোগিতা বৃদ্ধি পায়। আমরা সবাই জানি, গ্রাহকদের মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক সুবিধা দেয়ার জন্য টাওয়ার নির্মাণ করা হয়ে থাকে। এই টাওয়ারগুলোয় বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের দুই ধরনের এন্টেনা থাকে। মূলত এই তরঙ্গের মাধ্যমেই আমরা দূরে অবস্থিত মানুষটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি। তরঙ্গ চলার সময় তার চারপাশে ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড উৎপন্ন করে আর এ থেকে তৈরি হয় ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। প্রযুক্তিতে উন্নত দেশগুলোয় গবেষণা করে দেখা গেছে হার্ট অ্যাটাক, কিডনি রোগ ও ব্রেন ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। স¤প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের সংস্পর্শে আসা প্রতি ৪ জন শিশুর মধ্যে ১ জন শিশু স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে। এই রেডিয়েশন যে শুধু মানব শরীরেরই ক্ষতিসাধন করে তাই নয়; এর ফলে টাওয়ারের আশপাশে অবস্থিত গাছপালা ও ফসলের ফলনও কমে যায়। ফাইভ-জি মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করলে মানুষের আরও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২.৬ কোটি ব্রিটিশ নাগরিক গ্যাজেট ব্যবহারের ফলে বুড়ো আঙুলের ব্যাথায় ভোগেন। ডিভাইস ব্যবহারের কারণে একই আঙুলের বারবার ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট এই ব্যাথাকে বলা হয় ব্ল্যাকবেরি থাম্ব। ডিভাইসের স্ক্রিন দেখতে নিচে তাকিয়ে থাকার কারণে ঘাড়ে যে ব্যাথা অনুভূত হয়, তা আইপশ্চার নামে পরিচিত। আমাদের মাথার ভর ১০ থেকে ১২ পাউন্ড এবং লম্বা সময় ধরে এটি একটি দিকে রাখলে মেরুন্ডে বাড়তি ভরের চাপ প্রয়োগ করে। যেমন, ১৫ ডিগ্রী বাঁকানো মাথা ঘাড়ের উপর ভর বাড়িয়ে দেয় ২৭ পাউন্ডের। ২০১৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী ‘টেক্সটনেক’ নামের এই সমস্যা আরও ছড়িয়ে যেতে পারে। চোখের ডাক্তাররা সতর্ক করে জানান, স্মার্টফোনের পর্দার নীলচে আলো চরম ক্ষতিকারক এবং স্মার্টফোন অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে দীর্ঘমেয়াদী চোখের ক্ষতি হতে পারে। চোখ জ্বলা, মাথাব্যাথা এবং দূর দৃষ্টি কমে যাওয়ার মতো রোগগুলো ফোন এবং কম্পিউটার ব্যবহারের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া কানে কম শোনা, শরীরের অস্থি-সন্ধিগুলোর ক্ষতি, শুক্রাণু কমে যেতে পারে।
অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, একনাগাড়ে অনেক দিন এই রেডিয়েশনে ব্যবহারের কারণে মানব দেহের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। মানুষ বর্তমানে যে হারে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে তাতে স্বাস্থ্য হানি হওয়াটা স্বাভাবিক। মোবাইল রেডিয়েশনের সম্ভাব্য রোগসমূহ- ১. ক্যান্সার, ২. ব্রেইন টিউমার, ৩. আলঝেইমার’স, ৪. পারকিনসন’স, ৫. ক্লান্তি, ৬. মাথা ব্যথা। মোবাইল ফোনের সঙ্গে জড়িত যত রোগের কথা এ পর্যন্ত উঠেছে তার মধ্যে ক্যান্সার ও ব্রেইন টিউমারই প্রধান। তবে এ ব্যাপারে অনেক গবেষণে চালিয়েও গবেষকরা এ পর্যন্ত কোন স্থির সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারেনি।
ভয়াবহ ক্ষতিকর দিক থাকা সত্তে¡ও দেশের বেশির ভাগ মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসতবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাদে স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে নজর দেয়ার মতো যেন কেউ নেই। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে আমাদের একটি বিকলাঙ্গ প্রজন্ম দেখতে হবে। স্বাস্থ্যকর, সুন্দর ও নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য এখনই আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। মোবাইল একটি খুব প্রয়োজনীয় ডিভাইস তাই এটা ব্যবহার করতেই হবে। কিন্তু নিজেকে নিরাপদ থাকার জন্য কিছু নিয়ম মানার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি এবং সুইডেন ইত্যাদি দেশের তেজস্ক্রিয়তা সংক্রান্ত জাতীয় উপদেষ্টা কর্তৃপক্ষ মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন থেকে নিরাপদ থাকার জন্য কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে রয়েছে-১। মোবাইল ফোনকে যতটা সম্ভব শরীর থেকে দূরে রাখতে হবে। ২। হ্যান্ডস-ফি মোবাইল ব্যবহার করতে হবে। ৩। ঘুমানোর সময় মোবাইল মাথা থেকে দূরে রাখতে হবে। ৪। যতটুকু সম্ভব বাহিরে বসে ফোনে কথা বলা ভালো। ৫। মোবাইল যতটা সম্ভব শিশুদের থেকে দূরে রাখা ভালো। ৬। এক্সটারনাল এন্টেনা ছাড়া গাড়িতে মোবাইল ব্যবহার করা উচিত নয়। ৭। এক টানা দীর্ঘ সময় মোবাইলে কথা বলা উচিত নয়। ৮। বিল্ডিং এর ভিতরে যথা সম্ভব ফোনে কোন কথা বলা।
বিশ্বে প্রথম-জি চালু হয় জাপানে ১৯৭৯ সালের ১ ডিসেম্বর। আর বাংলাদেশে চালু হয় ১৯৯৩ সালে। দ্বিতীয়-জি ১৯৯৭ সাল, তৃতীয়-জি ২০১২ সাল, ফোর-জি ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। ফোর-জির সেবা গ্রহণ করে মানুষের সময় ও অর্থ অপচয় রোধ হচ্ছে বলে দাবি তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের। তবে বাংলাদেশের গ্রামাণাঞ্চলে ফোর-জি ঠিকমতো কাজ করে না। তাছাড়া মোবাইল প্রযুক্তির ক্ষতিকর দিক কাটিয়ে ফাইভ-জি’র সেবা দেয়াই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব চিন্তা রেখেই ফাইভ-জি প্রযুক্তি কার্যকরের মত দিয়েছেন অনেকে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানী লিমিটেড ফাইভ-জি প্রযুক্তির সেবা দিতে কাজ করে যাচ্ছে।
মোবাইল ফোনের পঞ্চম জেনারেশন ইন্টারনেটকে সংক্ষেপে ডাকা হয় ফাইভ-জি। যেখানে অনেক দ্রুত গতিতে ইন্টারনেট তথ্য ডাউন লোড এবং আপলোড করা যাবে। যার সেবার আওতা হবে ব্যাপক। এটা আসলে রেডিও তরঙ্গের আরো বেশি ব্যবহার নিশ্চিত করবে এবং একই সময় একই স্থানে বেশি মোবাইল ফোন ইন্টারনেটের সুবিধা নিতে পারবে। হয়তো ড্রোনের মাধ্যমে গবেষণা এবং উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা হবে, অগ্নি নির্বাপণে সহায়তা করবে। আর সেসবের জন্যই ফাইভ জি প্রযুক্তি সহায়ক হবে। অনেকে মনে করেন, চালক বিহীন গাড়ি, লাইভ ম্যাপ এবং ট্রাফিক তথ্য পড়ার জন্যও ফাইভ জি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। মোবাইল গেমাররা আরো বেশি সুবিধা পাবেন। ভিডিও কল আরো পরিষ্কার হবে। সহজেই ও কোনরকম বাধা ছাড়াই মোবাইলে ভিডিও দেখা যাবে। শরীরে লাগানো ফিটনেস ডিভাইসগুলো নিখুঁত সময়ে সংকেত দিতে পারবে, জরুরী চিকিৎসা বার্তাও পাঠাতে পারবে।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, একটি ভালো মানের চলচ্চিত্র হয়তো মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই ডাউন লোড করা যাবে। বেশিরভাগ দেশ ২০২০ সাল নাগাদ ফাইভ জি সেবা চালু করতে চায়। তবে কাতারের ওরেডো কোম্পানি জানিয়েছে, তারা এর মধ্যেই বাণিজ্যিকভাবে সেবাটি চালু করেছে। প্রযুক্তি-বিশ্লেষকেরা বলছেন, বর্তমানে সর্বাধুনিক ফোর-জি প্রযুক্তিকে ছাপিয়ে যেতে হবে ফাইভ-জিকে।
তথ্যপ্রযুক্তি ও এ সংক্রান্ত সেবা খাতে (আইটি-আইটিইএস) বাংলাদেশের সম্ভাবনা ব্যাপক। এ ক্ষেত্রটিতে বিশ্বের অন্যতম প্রবৃদ্ধি হার দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে। তাই এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান এভারেস্ট গ্রুপের একটি গবেষণা পত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে স্থানীয় আইটি-আইটিইএস থেকে ৯০ কোটি থেকে ১১০ কোটি মার্কিন ডলার বা নয় হাজার কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৫ সাল নাগাদ তা প্রায় ৪৮০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম, এখানকার বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আগ্রহ সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ইতিবাচক সম্ভাবনার বিষয়গুলো প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২০ সাল নাগাদ তথ্য প্রযুক্তি সেবা খাতে আয় ২৩০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। বাংলাদেশে হার্ডওয়্যার ও তথ্য প্রযুক্তি সেবা খাতের দ্রুত বৃদ্ধি এ খাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশে কম খরচে ব্যবসা করার সুবিধা এবং কম খরচে কর্মী পাওয়া যাবে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে আইটি-আইটিএস সেবা দেওয়া হচ্ছে।
ফাইভ-জি মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে যে সব সেবা পাওয়া যাবে। তার কয়েকটি হলো;-১. তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হবে। ২. অপচয় রোধ করবে। ৩. সময় আরও সাশ্রয়ী হবে। ৪. তথ্যের প্রাপ্যতা যোগাযোগ সম্ভব হবে। যেমন- ফোন, ইমেল, ইন্টারনেট, এস এম এস, ভয়েস ও ভিডিও কল করা আরও সহজ এবং স্পস্ট হবে। ৫. সর্বক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। ৬. ব্যবসা-ব্যণিজ্যের লাভজনক প্রক্রিয়া সৃষ্টি হবে। ৭. ই-কমার্সের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পণ্যের বাজার সৃষ্টি করা যাবে। ৮. শিল্প প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষ্য শক্তির অপচয় কমাবে। ৯. ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জিনিস অর্ডার দেয়া যাবে। ১০. মানব সম্পদের আরও উন্নয়ন ঘটবে। ১১. শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ঘরে বসে ইন্টারনেটের মধ্যমে বিশ্বের যে কোন প্রতিষ্ঠান শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। ১২. সিটিজেন চার্টারের মতো নাগরিক সুবিধাগুলি ঘরে বসেই পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশে মোবাইল প্রযুক্তিসহ তথ্য-প্রযুক্তির সব ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর প্রযুক্তির বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি মন্ত্রী মোস্তফা জাব্বার ও প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আজমেদ পলকের। এছাড়া বিএসসিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমানসহ টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ফাইভ-জি বাস্তবায়নে গবেষণা করছেন।
মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা প্রয়োজনীয় কাজ অব্যাহত রেখেছি। ফাইভ-জি মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজগুলো আরও সহজতর হবে। প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা তুলে ধরে বিশ্বের ১৯৩ দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও প্রতি বছর ১৭ মে আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস পালন করা হয়। প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নতি সাধিত হচ্ছে।
লেখক : সাংবাদিক
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন