রাজধানীতে ২০ রমজানের আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করার দাবিতে পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালান করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে অবিলম্বে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ ও বোনাস দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
গতকাল সকালে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০ রমজানের মধ্যে মে মাসের বেতন, পূর্ণ উৎসব বোনাসসহ প্রাপ্য সব পাওনা পরিশোধ এবং পোশাক শ্রমিকদের আবাসন, চিকিৎসা, রেশনিংয়ের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের টাকা পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া অব্যাহতভাবে ছাঁটাই, নির্যাতন, হামলা বন্ধ ও শ্রমিকদের নামে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবছর রোজার শুরুতে শ্রম মন্ত্রণালয় মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সব পোশাক শিল্প শ্রমিকের বেতন-ভাতা নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধের কথা বলে। কিন্তু মালিকরা ঈদের ছুটির আগে বোনাস-বেতন পরিশোধ না করে শ্রমিকদের জিম্মি করে। ঈদের আগ মুহূর্তে শ্রমিকরা যখন স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য উদগ্রীব হন তখন মালিকরা শ্রমিকদের বোনাস না দিয়ে বকশিশ হিসেবে কিছু টাকা দেয় আর আংশিক বেতন দিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করে। শ্রমিকদের তখন প্রতিবাদ করার কোনও সুযোগ থাকে না। প্রতিবাদ করলেও উৎসবের আগে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অজুহাতে সরকার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। বক্তারা ২০ রোজার মধ্যে শ্রমিকদের প্রাপ্য বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানান। এ সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা না হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় মালিকদের নিতে হবে বলে জানান। সমাবেশে গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব নঈমুল আহসান জুয়েল, ঐক্য পরিষদের নির্বাহী পরিষদের অন্যতম নেতা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, আব্দুল ওয়াহেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্যপরিষদ ২০ রমজান তথা ২৬ মে’র মধ্যে চলতি মাসের বেতন, পূর্ণ উৎসব বোনাসসহ সব পাওনা পরিশোধ করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। পরিষদের সদস্য সচিব নাঈমুল আহসান জুয়েলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুল ওয়াহেদ, আহসান হাবিব বাবুল, খালেকুজ্জামান লিপন, সরদার মোর্শেদ, কামরুন্নাহার, মিলি আক্তার প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন