গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বাংলাদেশ এক গভীর ফ্যাসিবাদের করাল গ্রাসে নিপতিত। নির্যাতন-নীপিড়ন-গুম-খুন-বিচারহীনতাই সাধারণ নিয়মে পরিণত হতে চলেছে। ঘরে-বাইরে কিংবা কর্মক্ষেত্রে জীবনের নিরাপত্তা নেই। উড়ালসেতু আর সড়ক নির্মাণের নামে লুটপাটের মহাযজ্ঞ চলছে। দেশ পরিচালনার মূলমন্ত্র যেন লুটপাট-দুর্নীতি আর ধ্বংসযজ্ঞ। উন্নয়নের নামে প্রাণ-প্রকৃতি-উৎপাদন ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সংবিধানের স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতাকাঠামোর পরিবর্তন দরকার।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রথম নির্বাহী সমন্বয়কারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আবদুস সালামের স্মরণসভায় গতকাল শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখতার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, আরিফুল ইসলাম, জুলহাসনাইন বাবু, কেন্দ্রীয় সংগঠক বেলায়েত সিকদার প্রমুখ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি, বাংলাদেশ বহুমুখী ও হকার শ্রমজীবী সমিতি, বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতি, নারী সংহতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে জোনায়েদ সাকি বলেন, উড়ালসেতু আর সড়ক নির্মাণের নামে লুটপাটের মহোৎসব চলছে। দেশ পরিচালনার মূলমন্ত্র যেন লুটপাট-দুর্নীতি আর ধ্বংসযজ্ঞ। কাজেই এ অবস্থায় ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হলে সংবিধানের স্বৈরতান্ত্রিক বিদ্যমান ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তন ছাড়া তা সম্ভব নয়। এডভোকেট আবদুস সালাম তাঁর জীবদ্দশায় সংবিধানের স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তনের প্রশ্নকে রাজনৈতিক সংগ্রামের অন্যতম কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে নির্ধারণ করে বহুবছর ধরে লড়াই করেছেন। তিনি আজীবন একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান ও রাষ্ট্র গঠনের জন্যই সংগ্রাম করে গেছেন এবং আমাদের অঙ্গিকার আমরা তাঁর সেই অসম্পূর্ণ স্বপ্নপথের সংগ্রামেই জড়িত আছি এবং থাকব। তিনি, উৎসব পালনের জন্য নিরাপদে যেন মানুষ বাড়ি ফিরতে পারেন তার সার্বিক নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও সরকারের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন